Skip to main content
লাল টুসটুসে তার গাল আর ধবধবে সাদা লম্বা দাড়ি। পরনে
পা থেকে মাথা পর্যন্ত লাল রঙের স্যুট। বিশাল বপু জুড়ে
কালো রঙের বেল্ট। ক্রিসমাসের মৌসুম এলেই পশ্চিমা
বিশ্বে স্যান্টা ক্লজের এমন প্রতিকৃতি দেখা যায় প্রায়
সবখানে।
পশ্চিমা লোক-কাহিনীতে ক্রিসমাসে স্যান্টা ক্লজ সবার
জন্য উপহার নিয়ে আসেন। কিন্তু আমেরিকার ইন্ডিয়ানা
অঙ্গরাজ্যে রয়েছে এমন এক শহর যার নাম 'সান্টা ক্লজ টাউন'।
সেখানে বছরে অন্তত ২০ হাজার চিঠি আসে সান্টা ক্লজের
নামে।
কেমন সে শহর?
স্যান্টা ক্লজ শহরে যেন সারা বছরই ক্রিসমাস। শহরের সীমানা
যেখানে শুরু সেখানে স্যান্টা ক্লজের বিশাল আকারের একটি
ভাস্কর্য। একই রকম ভাস্কর্য রয়েছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার
সামনে।
এখানকার মূল রাস্তার নাম ক্রিসমাস বুলোভার্ড। ক্রিসামসের
সাথে জড়িয়ে থাকা লোক-কাহিনীতে যেসব চরিত্র রয়েছে
সেগুলোর নামে রয়েছে শহরের আরও অনেক কিছু। যেমন রুডল্ফ
লেন, ক্রিসমাস লেক।
শহরের স্যান্টা ক্লজ যাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা প্যাট কুক বলছেন
স্যান্টা ক্লজের নামে শহরটিতে প্রতি বছর হাজার হাজার
চিঠি আসে। প্রেরকের কাছে সেগুলোর উত্তরও পৌঁছে যায়।
নভেম্বর মাসের শেষ নাগাদ প্যাট কুক ও তার শ'দুয়েক
স্বেচ্ছাসেবী এসব চিঠির জবাব দেন।
পশ্চিমা লোক-কাহিনীতে ক্রিসমাসে স্যান্টা ক্লজ সবার
জন্য উপহার নিয়ে আসেন, বিশেষ করে শিশুদের জন্য। সেই
উপহার পেতে হলে সারাবছর দুষ্টুমি থেকে দূরে থাকতে হবে।
"যেমন ধরুন সারা বছর ভালো হয়ে চলার জন্য আমরা ধন্যবাদ দেই।
স্কুলে ভালো করে পড়াশোনা করার জন্য, অথবা ভাইবোনের
সঙ্গে ঝগড়া না করার উপদেশ দেই। ছোট শিশুদের যেসব উপদেশ
বানী দেয়া হয়, সেগুলো আর কি। ওদেরকে একটু জানানো যে
সান্টা তাদের চিঠিটি পড়েছেন" বলছেন প্যাট কুক ।
চিঠির উত্তর লেখার দায়িত্ব যেমন স্বেচ্ছাসেবীরাই নিয়ে
থাকেন, তেমনি এর খরচও চলে মূলত দানের অর্থে। শহরের
বাসিন্দা মোটে দু'হাজার। কিন্তু শহরটিতে সারা বছর জুড়ে
বেড়াতে আসেন অনেক লোক। ছয়ঘন্টা গাড়ি চালিয়ে
মিসিসিপি থেকে এসেছেন আর্মস্ট্রং পরিবার।
"ক্রিসমাসে কোথায় বেড়াতে যাওয়া যায় সে নিয়ে আমরা
গবেষণা করছিলাম। আমরা ক্রিসমাসে কোথাও না কোথাও
যাওয়ার চেষ্টা করি। ফেইসবুকে হঠাৎ একটা আর্টিকেল
দেখলাম যেখানে লেখা ছিল পরিবার নিয়ে ক্রিসমাসে
বেড়াতে যাওয়ার সেরা দশটি যায়গা কোনগুলো। এভাবেই
বুদ্ধিটা পেলাম। ঐ লিস্টে যে স্থানগুলোর নাম ছিল তার মধ্যে
এই শহরটিই আমাদের সবচাইতে কাছে"।
কিভাবে নাম হল স্যান্টা ক্লজ শহরের?
১৮৫৫ সাল পর্যন্ত শহরটির নাম ছিল স্যান্টা ফি। সেসময়
শহরটিতে একটি নতুন পোষ্ট অফিস চালু করতে গিয়ে জানা
গেলো আরও এক শহরের নাম স্যান্টা ফে। চিঠি পাওয়ার
ঝামেলা এড়ানোর জন্য তখন নাম না বদলে আর উপায় ছিলনা।
তবে শহরের বাসিন্দারা স্যান্টা ক্লজ নামটি ঠিক কিভাবে
বেছে নিলেন, সেই গল্পের কতটুকু বাস্তব আর কতটুক আসলেই
গল্প -সেটি এত দিন পর নিশ্চিত জানা যায়না। এখানে আসা বহু
চিঠির খামে শুধু স্যান্টা ক্লজের নামটাই লেখা থাকে।

Comments

Popular posts from this blog

ভালবাসার সঙ্গা:-

ভালোবাসার সংজ্ঞা দিয়েছেন বিভিন্ন দার্শনিক বিভিন্ন ভাবে । ব্যক্তি ভেদে এই সংজ্ঞা বদলে যায় , যেমন বিখ্যাত গণিতবিদ পীথাগোরাস কে আমরা সবাই কম-বেশি চিনি। একবার কোন এক “ ভালোবাসা দিবস” এ এক লোক পীথাগোরাস কে জিজ্ঞেশ করেছিল, আপনার কাছে ভালবাসা’র সংজ্ঞা কী হতে পারে? পীথাগোরাস কোনো কথা না বলে খাতা-কলম নিয়ে বসে পরলো। তারপর কিছুক্ষন পর বলল, আমার কাছে ভালবাসা হচ্ছে ২২০ এবং ২৮৪ এর উৎপাদক ।তখন লোকটি বলল , কীভাবে? পীথাগোরাস বলল , ২২০ এর উৎপাদক হলো ১,২,৪,৫,১০,১১,২০,২২,৪৪,৫৫,১১০ এবং ২৮৪ এর উৎপাদক হলো ১,২,৪,৭১,১৪২ এখন আপনি যদি ২২০ এর উৎপাদক গুলোকে যোগ করেন তাহলে যোগফল হবে ২৮৪ (১+২+৪+৫+১০+১১+২০+২২+৪৪+৫৫+১১০=২৮৪) এবং ২৮৪ এর উৎপাদক গুলোকে যোগ করেন তাহলে যোগফল হবে ২২০ (১+২+৪+৭১+১৪২=২২০) কী! মজার না? আবার দেখুন আমাদের দেশের কবি রফিক আজাদের একটা কবিতা আছে, "ভালোবাসার সংজ্ঞা" ভালোবাসা মানে দুজনের পাগলামি, পরস্পরকে হৃদয়ের কাছে টানা; ভালোবাসা মানে জীবনের ঝুঁকি নেয়া, বিরহ-বালুতে খালিপায়ে হাঁটাহাঁটি; ভালোবাসা মানে একে অপরের প্রতি খুব করে ঝুঁকে থাকা; ভালোবাসা মানে ব্যাপক বৃষ্টি, বৃষ্

আমি নিজের চোখকে বিস্বাস করাতে পারছিলামনা।

আমি নিজের চোখকে বিস্বাস করাতে পারছিলামনা। - রাইসাঃ কি তুমার বিস্বাস হচ্ছেনা,আমি তুমার সামনে?? - আমিঃ তুমাকে কি আমি স্পর্শ করে দেখতে পারি? - রাইসাঃ আমি কি তুমাকে নিষেদ করেছি! - আমি আমার হাতটা রাইসার হাতের উপরে রাখলাম,আমার ভিতরে অজানা একটা ভাল লাগা কাজ করলো,বুকের ভিতরটা মোচর দিয়ে উঠলো! - এরি নাম হয়তো ভালবাসা! - আমি শুধু মুগ্ধ হয়ে রাইসাকে দেখছি।। - কখন যে সময় পেরিয়ে গেলো বুঝতে পারলাম না।।।হঠাৎ রাইসার ডাকে আমার হুশ্ ফিরলো! - রাইসাঃএখন আমাকে যেতে হবে শাকিল। - আমিঃ কেন?আরেকটু থাকোনা! - রাইসাঃ না একটু পরে আযান হবে,আমি আর থাকতে পারবনা, দিনের আলো আমি একদম সহ্য করতে পারিনা।আমি যাচ্ছি ভাল থেকো। রাইসা চলে গেলো। - ঘরটা আগের মতো আবার অন্ধকার হয়ে গেলো।শুধু একটা মিষ্টি গন্ধ পাচ্ছি! - - তার পর বেশ কিছুদিন কেঁটে গেলো,রাইসা আমাকে কল করছে না,দেখা করতেও আসছেনা।। - ভাবলাম ও হয়তো আমাকে ভুলে গেছে! মনের অজান্তেই কখন রাইসাকে আমি ভালবেসে ফেলেছি,জানিনা। - খুব কষ্ট হচ্ছিলো! রাইসাকে ছাড়া আর কোন কিছু ভাবতে পারছিনা আমি। হোক না সে অন্য কোন জাতি!আমি তু তাকে ভালবাসি আর ভালবাসা

Lilaboti porbo 1

০১. রেললাইনের উপর একটা বক Sep 17, 2017 | লীলাবতী (২০০৫) পূর্বকথা আমার শৈশবের একটি অংশ কেটেছে মোহনগঞ্জে, আমার নানার বাড়িতে। ছায়াময় একটি বাড়ি, পেছনে ঘন জঙ্গল। জঙ্গলের ভেতর সারদেয়াল– পূর্বপুরুষদের কবরস্থান। সব কিছুই রহস্যময়। সন্ধ্যাবেলায় সারদেয়ালে ছায়ামূৰ্তিরা হাঁটাহাঁটি করে। গভীর রাতে বাড়ির ছাদে ভূতে ঢিল মারে। কেউ তেমন... ০২. আমার নাম আনিস Sep 17, 2017 | লীলাবতী (২০০৫) আমার নাম আনিস। আনিসুর রহমান। এই অঞ্চলে আমার অনেকগুলি নাম আছে— কুঁজা মাস্টার, গুঁজা মাস্টার। কুঁজা হয়ে হাঁটি এইজন্যে কুঁজা মাস্টার। কলেজের প্রিন্সিপ্যাল গণি সাহেব আমাকে ডাকেন ভোঁতা-মাস্টার। সবসময় মুখ ভোঁতা করে রাখি বলে এই নাম। হ্যাঁ, আমি সবসময় মুখ ভোঁতা করে রাখি। মাঝে... ০৩. কার্তিক মাসের সকাল Sep 18, 2017 | লীলাবতী (২০০৫) কার্তিক মাসের সকাল। সিদ্দিকুর রহমানের গায়ে ঘিয়া রঙের চাদর। ঘন হয়ে কুয়াশা পড়েছে। তিনি কুয়াশার ভেতর দাঁড়িয়ে আছেন। তার দৃষ্টিতে একধরনের মুগ্ধতা আছে। মুগ্ধতার কারণ এই বছর শিউলি গাছে ফুল ফুটেছে। হাজার হাজার ফুল। গত বছর এবং আগের বছর গাছে কোনো ফুল ফুটে নি। শিউলি গাছ... ০৪. সব জায়গা