Skip to main content

Posts

Showing posts from 2018

Md Yousuf

Md Yousuf Name: MD YOUSUF Father's Name: SHAZIBAL HOUQUE Mother's Name: PARUL BIBI Hight:5.4" Mobile: +8801838467839 Email:yousufhossain985@gmail.com

Yousuf1

Name                     Md Yousuf Father's Name   Shazibal Houque Mother's  Name  Parul Bibi Date of                  Birth 12 Feb 2001 Web.Facebook.com/bh yousuf

লাল লঙ্কা-২

সদ্য বরফ গলতে শুরু করেছে বলে পাথর এখানে সাঙ্ঘাতিক পিছল। কাকাবাবু প্রতিবার ক্রাচ তুলছেন আর ফেলছেন দারুণ সাবধানে। তবু এক-একবার হড়কে যাচ্ছে। অরিজিৎ করুণ মুখ করে বলল, কাকাবাবু, আপনাকে আর যেতে হবে না। এরপর ওপরটায় গিয়ে আমিই খুঁজে দেখছি। কাকাবাবু কোনও উত্তর না দিয়ে মুখ তুলে আকাশের দিকে তাকালেন। এখন ঘড়ি অনুযায়ী দুপুর সাড়ে তিনটে, কিন্তু এর মধ্যেই যেন সন্ধে হয়ে এসেছে। আকাশের এক দিকটা লাল।এই ঠাণ্ডাতেও কাকাবাবুর কপালে বিন্দু-বিন্দু ঘাম জমেছে। তাঁর নিশ্বাসের কষ্ট হচ্ছে। কাঠমাণ্ডুতে তাকে দু-তিনজন বার-বার অক্সিজেন সঙ্গে নেবার কথা বলেছিল, কাকাবাবু তাতে কৰ্ণপাত করেননি। তিনি ভেবেছিলেন, আজকাল তো অক্সিজেন ছাড়াই কেউ-কেউ এভারেস্টেও ওঠার চেষ্টা করছে, সুতরাং এই বারো-তেরো হাজার ফিট কী আর কষ্ট হবে! কাকাবাবু নিজেও এর চেয়ে উঁচুতে উঠেছেন আগে, কিন্তু এবারে তাঁর হািফ ধরে যাচ্ছে। হঠাৎ যেন বাতাস কমে গেছে। এদিকে। অরিজিৎ আবার বলল, কাকাবাবু, আপনি এখানে বসেই বিশ্রাম নিন। বরং। আমি ওপর দিকটা দেখে আসছি। আগেরবার এখানেই পেয়েছিলুম।কাকাবাবু জোর দিয়ে বললেন, না, আমি শেষ পর্যন্ত দেখতে চাই! তুমি আমাকে এত দূর নিয়ে এসেছ, এইটু

লঙ্কা

লঙ্কা কাকাবাবু বললেন, অসম্ভব! তোমার এ-কথা আমি কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছি না। তুমি এ-প্রসঙ্গ আর আমার কাছে বোলো না, অন্য কথা বলো? অরিজিৎ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, কাকাবাবু, আমার যে আর অন্য কোনও উপায় নেই। কাকাবাবু ধমকের সুরে বললেন, হ্যাঁ, উপায় আছে। তুমি এক্ষুনি চান করে নাও, তারপর ভাল করে খাওন্দাও, তারপর একটা লম্বা ঘুম দাও! অরিজিৎ আবার বলল, কাকাবাবু, তুমি বুঝতে পারছ না… কাকাবাবু তাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন, আমার আর বোঝার দরকার নেই। তারপর তিনি গলা চড়িয়ে ডাকলেন, সন্তু! সন্তু!সন্তু একটু আগেই ব্যাডমিন্টন খেলে ফিরেছে। কাকাবাবুর ঘরে একবার উঁকি মেরে ওপরের ঘরে চলে গেছে। কাকাবাবুর ডাক শুনে নীচে নেমে এল তরতর করে। মা-বাবা বেড়াতে গেছেন। পুরী, বাড়িতে আর বিশেষ লোকজন নেই। কাকাবাবুর ঘরে একজন ভদ্রলোককে দেখতে পেল সন্তু, মুখটা চেনা-চেনা। খুব সম্ভবত মধ্যপ্রদেশে কোথাও দেখা হয়েছিল। কিন্তু এখন তার মুখে খোঁচাখোঁচা দাড়ি। মাথার চুল ধুলোবালি-মাখা, তার গায়ের প্যােন্টশার্ট দোমড়ানো-মোচড়ানো, কেমন যেন পাগল-পাগল চেহারা। কাকাবাবু বললেন, অরিজিৎকে চিনতে পারছিস তো, সন্তু? অরিজিৎ সিকদার। সেই একবার বস্তার জেলার

সন্ধ্যা তখনো মিলায় নি

০১. সন্ধ্যা তখনো মিলায় নি Dec 16, 2017 | তেতুল বনে জোছনা সন্ধ্যা তখনো মিলায় নি। আকাশ মেঘশূন্য, পরিষ্কার। হঠাৎ কী যেন হয়ে গেল। প্রথমে কয়েকবার কামানদাগার মতো গুম গুম শব্দ, তারপর কাক ডাকতে শুরু করল। গাছের সব পাখি এক সঙ্গে আকাশে উড়ে গেল। এর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই প্ৰচণ্ড ঝড় বয়ে গেল বিরাটনগর গ্রামের ওপর দিয়ে। ঝড়ের স্থায়িত্ব... ০২. নবনীর ঘুম Dec 16, 2017 | তেতুল বনে জোছনা নবনীর ঘুম ভাঙ্গে সকাল দশটায়। সপ্তাহে দুদিন, মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবারে তার ক্লাস থাকে ন’টায়। এই দু’দিন ঘড়িতে এলার্ম দেয়া থাকে। যথাসময়ে এ্যালার্ম বাজে। ঘুমের ঘোরে নবনী হাত বাড়িয়ে ঘড়ি হাতে নেয়। এ্যালার্ম বন্ধ করে পাশ ফিরে শুয়ে পড়ে। অ্যালার্মের পর তার ঘুম গাঢ় হয়।... ০৩. বিরাটনগর হাই স্কুল Dec 16, 2017 | তেতুল বনে জোছনা বিরাটনগর হাই স্কুলের সামনে আজ চাপা উত্তেজনা। গুজব শোনা যাচ্ছে আজ জুম্মাঘরের ইমাম সাহেবকে নেংটো করে স্কুলের মাঠে চক্কর দেওয়ানো হবে। গুজবটা কেউ ঠিক বিশ্বাসও করতে পারছে না, আবার অবিশ্বাসও করতে পারছে না। চেয়ারম্যান সাহেব বিচিত্র সব কাণ্ড করেন। তার পক্ষে এই ধরনের শাস্তি... ০৪. নিস্তরঙ্গ দিঘি

Lilaboti 2

২১. পরীবানুর চিঠি Sep 19, 2017 | লীলাবতী (২০০৫) মঞ্জু তাঁর স্ত্রী এবং ঝড়-তুফানকে নিয়ে নিজ গ্রামে ফিরে গেছেন। লীলাবতীকে বলেছেন, মা, আমি তো ঘরজামাই না। ঘরজামাই হলে ভিন্ন কথা ছিল। আমি এখন একা না, আমার স্ত্রী আছে, দুই পুত্ৰ আছে। লীলাবতী বলল, পরী কি আপনার সঙ্গে যেতে চায়? মঞ্জু বিরক্ত হয়ে বললেন, তার আবার চাওয়া-চাওয়ি কী?... ২২. আমরা সবাই অপেক্ষা করি Sep 19, 2017 | লীলাবতী (২০০৫) লীলাবতী মূল বাড়ির উঠানে বসে আছে। সে মজার একটা দৃশ্য দেখছে। তার সামনে হাত পঁচিশেক দূরে একটা কাঁঠালগাছ। কাঁঠালগাছের নিচে গর্তমতো হয়েছে। বর্ষার পানি জমেছে। গর্তে। সেই পানিতে একটা কাক গোসল করছে। গোসল সারছে অতি ব্যস্ততায়। ঠোঁটে পানি নিয়ে পালকে মাখছে। কাকের স্নান মুগ্ধ হয়ে...

Lilaboti porbo 1

০১. রেললাইনের উপর একটা বক Sep 17, 2017 | লীলাবতী (২০০৫) পূর্বকথা আমার শৈশবের একটি অংশ কেটেছে মোহনগঞ্জে, আমার নানার বাড়িতে। ছায়াময় একটি বাড়ি, পেছনে ঘন জঙ্গল। জঙ্গলের ভেতর সারদেয়াল– পূর্বপুরুষদের কবরস্থান। সব কিছুই রহস্যময়। সন্ধ্যাবেলায় সারদেয়ালে ছায়ামূৰ্তিরা হাঁটাহাঁটি করে। গভীর রাতে বাড়ির ছাদে ভূতে ঢিল মারে। কেউ তেমন... ০২. আমার নাম আনিস Sep 17, 2017 | লীলাবতী (২০০৫) আমার নাম আনিস। আনিসুর রহমান। এই অঞ্চলে আমার অনেকগুলি নাম আছে— কুঁজা মাস্টার, গুঁজা মাস্টার। কুঁজা হয়ে হাঁটি এইজন্যে কুঁজা মাস্টার। কলেজের প্রিন্সিপ্যাল গণি সাহেব আমাকে ডাকেন ভোঁতা-মাস্টার। সবসময় মুখ ভোঁতা করে রাখি বলে এই নাম। হ্যাঁ, আমি সবসময় মুখ ভোঁতা করে রাখি। মাঝে... ০৩. কার্তিক মাসের সকাল Sep 18, 2017 | লীলাবতী (২০০৫) কার্তিক মাসের সকাল। সিদ্দিকুর রহমানের গায়ে ঘিয়া রঙের চাদর। ঘন হয়ে কুয়াশা পড়েছে। তিনি কুয়াশার ভেতর দাঁড়িয়ে আছেন। তার দৃষ্টিতে একধরনের মুগ্ধতা আছে। মুগ্ধতার কারণ এই বছর শিউলি গাছে ফুল ফুটেছে। হাজার হাজার ফুল। গত বছর এবং আগের বছর গাছে কোনো ফুল ফুটে নি। শিউলি গাছ... ০৪. সব জায়গা
ছেলেরা মাসে ৭০০০ টাকা বেতনে চাকরী করে!বাবার জন্য ১০০০,!মা'র জন্য ১০০০,!বউয়ের জন্য ১০০০ টাকা!ফেমিলি চালানোর ২০০০ বিকাশ করেও! দিব্যি ২০০০ টাকায় মাস চালিয়ে নিতেজানে। মাসে ৭০০০ টাকা মাইনের ছেলেটা বেতন পেয়ে! বউয়ের কাছে ফোনে বলতে জানে " ওগো তোমার জন্য কিপাঠাবো? " সামান্য বেতন পাওয়া যে ছেলেটা নিজের পুরনোজুতো বদলাবে বলে ঠিক করেছে , সেই ছেলেটাইমার্কেটে গিয়ে বউ আর বাবুর জন্য জুতো কিনে নিজের ছেঁড়াজুতো সেলাই করেমাসের পর মাস পড়তেজানে। উপোস পেটে কাজে গিয়েও মাকে বলতে জানে'আমি মাছ দিয়ে ভাত খেয়েছি তোমরা খেয়েছোতো', ১০৩ ডিগ্রী জ্বর নিয়ে কাজে গিয়েও বাবাকে বলে 'আমি অনেক ভাল আছি তোমরা ভাল আছোতো? নিজের পকেট ফাঁকা জেনেও বউকে বলে ' একটু ধৈর্য্য ধরো সামনের মাসে তোমার জন্য একজোড়া বালা কিনেদিব।

১০:০০টার পর

রাত তখন গভীর,সময়টা হয়তো রাত ১০:০০ টা! আমি তখন গভীর ঘুমে! হঠাত ফোনে একটা কল এলো,একটা অচেনা নাম্বার থেকে।ঘুমের মাঝেই কলটা রিসিব করলাম! আমিঃহ্যালো শাকিল বলছি! - একটা অপরিচিত মেয়েলি কন্ঠ ভেসে আসলো,হ্যালো কেমন আছো? - আমিঃ জি ভাল আছি!কে আপনি। - মেয়েঃ আমি রাইসা, আমাকে তুমি চিনবেনা!তুমি সাবধানে থেকো,এটা বলার জন্যই তুমাকে কল করেছি,বলেই কলটা কেটে গেলো। - আমিঃহ্যালো,হ্যালো........... -আনেকবার ট্রাই করলাম কিন্তু নাম্বার টা বন্ধ বলছে। যেই হোক সকালে দেখা যাবে। আমি ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে নাস্তা করে কলেজে যাব বলে বের হলাম,ঠিক তখনি আবার সেই নাম্বার থেকে একটা কল! আমিঃহ্যালো! আমি তখন মেয়েটির নাম জানি "রাইসা রাইসাঃতুমি আজ বাসে করে কলেজে যাবেনা,একটা টেক্সি করে চলে যাও,। - আমিঃকেন?আর কে আপনি? যে আপনার কথায় আমি টেক্সি করে কলেজে যাব? - রাইসাঃচুপ!যা বলছি তাই করো,কলটা কেঁটে গেলো। - কি আর করা ততক্ষনে কলেজ বাস মিস্ করে ফেলেছি।তখন টেক্সি করেই কলেজে গেলাম! - কলেজে পৌছার পর জানলাম আমাদের কলেজ বাস এক্সিডেন্ট করেছে,!কয়েক জন মারাও গিয়েছে।। - তাহলে কে আমাকে কল করে সতর্ক করেছিলো?আর

আমি নিজের চোখকে বিস্বাস করাতে পারছিলামনা।

আমি নিজের চোখকে বিস্বাস করাতে পারছিলামনা। - রাইসাঃ কি তুমার বিস্বাস হচ্ছেনা,আমি তুমার সামনে?? - আমিঃ তুমাকে কি আমি স্পর্শ করে দেখতে পারি? - রাইসাঃ আমি কি তুমাকে নিষেদ করেছি! - আমি আমার হাতটা রাইসার হাতের উপরে রাখলাম,আমার ভিতরে অজানা একটা ভাল লাগা কাজ করলো,বুকের ভিতরটা মোচর দিয়ে উঠলো! - এরি নাম হয়তো ভালবাসা! - আমি শুধু মুগ্ধ হয়ে রাইসাকে দেখছি।। - কখন যে সময় পেরিয়ে গেলো বুঝতে পারলাম না।।।হঠাৎ রাইসার ডাকে আমার হুশ্ ফিরলো! - রাইসাঃএখন আমাকে যেতে হবে শাকিল। - আমিঃ কেন?আরেকটু থাকোনা! - রাইসাঃ না একটু পরে আযান হবে,আমি আর থাকতে পারবনা, দিনের আলো আমি একদম সহ্য করতে পারিনা।আমি যাচ্ছি ভাল থেকো। রাইসা চলে গেলো। - ঘরটা আগের মতো আবার অন্ধকার হয়ে গেলো।শুধু একটা মিষ্টি গন্ধ পাচ্ছি! - - তার পর বেশ কিছুদিন কেঁটে গেলো,রাইসা আমাকে কল করছে না,দেখা করতেও আসছেনা।। - ভাবলাম ও হয়তো আমাকে ভুলে গেছে! মনের অজান্তেই কখন রাইসাকে আমি ভালবেসে ফেলেছি,জানিনা। - খুব কষ্ট হচ্ছিলো! রাইসাকে ছাড়া আর কোন কিছু ভাবতে পারছিনা আমি। হোক না সে অন্য কোন জাতি!আমি তু তাকে ভালবাসি আর ভালবাসা

ভালবাসার গল্প

তাইতো মরতে- মরতে ও বেচে গেলাম। রিয়ান এতোক্ষণ পর বুঝতে পারলো যে এখন যা ও দেখছে বা ওর সাথে হচ্ছে সব সত্য, রিয়ান কিছুসময় চুপ থেকে অতঃপর জোরে চিৎকার দিয়ে ডক্টরকে ডাকতে লাগলো--- ডক্টর ও রেসপন্স করেছে,ও রেসপন্স করেছে। তারপর উচ্চস্বরে হেসে বলতে লাগলো-- এই ভাড়াটে বউ তুই আমার সাথে বাড়ি যাবিনা? --- না, --- কিন্তু কেন? --- কারন এই যে তুই বললি আমি তোর ভাড়াটে বউ, যার ২ মাস ফুরিয়ে গেছে। --- রিয়ান তখন হাসতে - হাসতে বললো, হ্যা তো তুই আমার ভাড়াটে বউ তো, তবে ২ মাসের জন্য নয় সারাজিবনের। এই বলে রাইসার হাতটা আর ও শক্ত করে আকড়ে ধরলো আর যাতে হারিয়ে না যায়। তারপর রিয়ান কাঁদতে লাগলো, রিয়ানের কান্না দেখে রাইসা বলে উঠলো-- এ মা রিয়ান হক কাঁদছে। --- কী করবো বল, তুই য়ে তো কাঁদতে শিখিয়ে দিলি, আমায় ছেড়ে চলে যাস না প্লিজ। --- কখনো না, এই যে হাতটা ধরলাম মৃত্যু অবদি শক্ত করে ধরে রাখবো। ( সমাপ্ত). ( এই যে আপনাদের বলছি যারা রিয়ানের মতো এমন কেউকে ভালোবেসে জিবনটাকে থামিয়ে দিতে চাইছেন তাদের বলছি, থমকে যাবেননা, সমস্ত কষ্টকে উপেক্ষা করে সামনে হাটতে থাকুন দেখবেন এমন কারো দেখা পাবেন যে আপনে মাঝ পথে হোচট খেয়ে

ভাড়াটে বউ

রাইসার দিকে তাকিয়ে ধুম করে বসে পড়লো, আর বারবার বুকটাকে চেপে ধরলো, পাগলের ন্যায় ক্রমাগত বলতে লাগলো --- না, এটা হতে পারেনা, এ চলে যেতে পারেনা, একে বাচতে হবে, বাচতে হবে। রিয়ান চোখের জলগুলো মুছে বসে না থেকে, দৌড়ে- রাইসার কাছে গিয়ে ওকে কোলে নিলো , কাপা- কাপা কন্ঠে বারবার বলতে লাগলো--- এই মেয়ে চোখ খোলো, এই দেখ আমি তোমাকে কোলে নিয়েছি আজকে আর চাউলের বস্তা বলে ফেলে দিবোনা। প্লিজ চোখ খোলো, আরে আমাকে তোমার ঠিক করতে হবেনা? তোমার যে এখনো অনেক কাজ আছে এভাবে চলে যেয়ো না। কিন্তু রাইসার কোনো সাড়া না পেয়ে ধীরে - ধীরে ছেলেটি নিশ্চুপ হয়ে গেলো। বুঝে ফেললো --- মেয়েটি ওর কথাটা রাখার জন্য দূরে চলে গেলো। চারপাশের আবহাওয়া ধীরে- ধীরে আর ও অন্ধকারের আড়ালে লুকিয়ে যাচ্ছে, আকাশ বারবার আর্তনাদ করছে, বৃষ্টির স্পর্শের জন্য, প্রকৃতির মাঝে গম্ভীরতা প্রকাশ পাচ্ছে, এমতাবস্থায় রিয়ান নিজের আবেগকে কন্ট্রোল করে, চারপাশে তাকিয়ে বলতে লাগলো -- না এভাবে আর দাড়িয়ে থাকলে হবেনা, আমি ওকে নিয়ে হসপিটালে যাবো, ওকে বাচতেই হবে। এই বলে, রিয়ান তাড়াতাড়ি রাইসাকে নিয়ে গাড়িতে উঠে, বারবার ড্রাইভারকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলো-

এই, তুমি এখনো ঘুমাচ্ছ?

মৌমিতার কিন্নর কণ্ঠে রাহাতের ঘুম ভাঙল। তারপরও সে চোখ বন্ধ করে আছে। চোখ বন্ধ করে সে বুঝার চেষ্টা করছে যে মৌমিতা এখন কী কী করছে। তোয়ালে দিয়ে চুল আঁচড়ানোর শব্দ পাওয়া যাচ্ছে তারমানে মৌমিতা গোসল করে এসেছে। এখন শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। মৌমিতা তোয়ালে দিয়ে চুল জড়িয়ে বিছানার কাছে আসতেই রাহাত তাকে জোরে টান দিয়ে বিছানায় নিয়ে জড়িয়ে ধরল। -এই, হচ্ছেটা কী? ছাড়। অসভ্যতা কর না, প্লিজ। যে কেউ চলে আসবে। -আসুক। আমি তোমাকে ধরেই থাকব। -আমি তোমার জন্য চা নিয়ে আসি। ছাড়। -না, আমি আম্মুকে চা আনতে বলছি। রাহাত জোরে ডেকে বলল, আম্মু, আমার চা দিয়ে যাও। -আমি থাকতে আম্মু কেন চা দিবে? -তুমি তো জান, দিনের প্রথম চা আমি আম্মুর হাতে বানানো চা খাই, আর চা খেতে খেতে তোমাকে দেখি। এটা তো আমাদের রুটিন, নাকি? -হয়েছে আমার রুটিনওয়ালা। এখন উঠে বস। রাহাত উঠে বসল। কিছুক্ষণের মধ্যেই রাহাতের আম্মু রোজী চা নিয়ে ঢুকলেন। তিনি ছেলের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিলেন। -নে, তোর চা। চায়ে চুমুক না দিয়ে রাহাত বলল,আম্মু, চায়ে চিনি দাওনি? -দিয়েছি তো। তুই তো মুখেই দিস নাই, চিনি দিয়েছি কি না বুঝবি

আজ হিমুর বিয়ে (২০০৭)

আজ হিমুর বিয়ে (ফেব্রুয়ারি ২০০৭) । হিমু সমগ্র । হুমায়ূন আহমেদ আজ হিমুর বিয়ে – পর্ব ১ Jan 21, 2016 | আজ হিমুর বিয়ে (২০০৭) আজ হিমুর বিয়ে – পর্ব ১ মাজেদা খালাকে আপনাদের মনে আছে তো? কঠিন মহিলা। ইংরেজিতে এই ধরনের মহিলাদের বলা Hard Nut. কঠিন বাদাম। কঠিন বাদাম জাতীয় মানুষদের মাথায় কিছু ঢুকে গেলে বের হয় না। মাথার ভেতর ঘুরপাক খেতে থাকে। মাজেদা খালার মাথায় এখন ‘বিবাহ’ ঘুরপাক... আজ হিমুর বিয়ে – পর্ব ২ Feb 19, 2016 | আজ হিমুর বিয়ে (২০০৭) রেনুর চামড়া বাঁধানো খাতাটাকে কিছুতেই ডায়েরি বলা যাবে না। খিচুড়ি খাতা বলা যেতে পারে। যেখানে অংক আছে, ছবি আঁকা আছে, ধাঁধা আছে। ফাঁকে ফাঁকে মন্তব্য। উদ্ভব কিছু বিষয়ও আছে, যার রহস্য বের করা অসম্ভব। যেমন– ৭+৩ = ১২ (হা হা হা) ১২+৩ = ০ (আবার হা হা হা) এক পাতায়... আজ হিমুর বিয়ে – পর্ব ৩ Feb 21, 2016 | আজ হিমুর বিয়ে (২০০৭) আজ হিমুর বিয়ে – পর্ব ৩ আমি বসে আছি খালি সাহেবের মতিঝিলের অফিসে। একালের তরুণদের ভাষায়—জোস অফিস। দেয়ালে কামরুল হাসানের আঁকা লজ্জাবতী বাঙালি ললনা পর্যন্ত আছে। খালু সাহেবের মুখভঙ্গি যথেষ্ট কঠিন। মনে হয় ঠোঁট বন্ধ করে দাঁতে

নিশীথিনী – মিসির আলি

নিশীথিনী – মিসির আলি ০১. মিসির আলির ধারণা Jul 25, 2017 | নিশীথিনী - মিসির আলি মিসির আলির ধারণা ছিল, তিনি সহজে বিরক্ত হন না। এই ধারণাটা আজ ভেঙে যেতে শুরু করেছে। ঠিক এই মুহূর্তে তিনি অসম্ভব বিরক্ত। যে-রিকশায় তিনি উঠেছেন, তার সীটটা ঢালু। বসে থাকা কষ্ট্রের ব্যাপার। তার চেয়েও বড় কথা, দু মিনিট পরপর রিকশার চেইন পড়ে যাচ্ছে। এখন বাজছে দশটা তেইশ। সাড়ে... ০২. ফিরোজ মিসির আলির কাছে আসে Jul 25, 2017 | নিশীথিনী - মিসির আলি গত দু মাস ধরে ফিরোজ প্রতি সোমবারে মিসির আলির কাছে আসে। পাঁচটার সময় আসে, থাকে সাতটা পর্যন্ত। আজ কী মনে করে তিনটার সময় চলে এসেছে। মিসির আলি তখনো ইউনিভার্সিটি থেকে ফেরেন নি। তাঁর কাজের মেয়ে হানিফা দরজা খুলে দিল। সে দরজা খুলল ভয়ে-ভয়ে। ফিরোজের দিকে তাকালেই তার বুক টিপটপ... ০৩. নীলুদের বাড়ি Jul 25, 2017 | নিশীথিনী - মিসির আলি বহু খোঁজাখুঁজি করেও মিসির আলি নীলুদের বাড়ি বের করতে পারলেন না। তাঁর কাছে কোনো ঠিকানা নেই। তিনি ইচ্ছা করেই ঠিকানা রাখেন নি। না-রাখাটা বোকামি হয়েছে। কাঁঠালবাগানের যে-অঞ্চলে লাল রঙের দোতলা বাড়ি থাকার কথা, সেখানে লাল রঙের কোনো বাড়িই নে