রাইসার দিকে তাকিয়ে ধুম করে বসে পড়লো, আর বারবার বুকটাকে চেপে ধরলো, পাগলের ন্যায় ক্রমাগত বলতে লাগলো --- না, এটা হতে পারেনা, এ চলে যেতে পারেনা, একে বাচতে হবে, বাচতে হবে। রিয়ান চোখের জলগুলো মুছে বসে না থেকে, দৌড়ে- রাইসার কাছে গিয়ে ওকে কোলে নিলো , কাপা- কাপা কন্ঠে বারবার বলতে লাগলো--- এই মেয়ে চোখ খোলো, এই দেখ আমি তোমাকে কোলে নিয়েছি আজকে আর চাউলের বস্তা বলে ফেলে দিবোনা। প্লিজ চোখ খোলো, আরে আমাকে তোমার ঠিক করতে হবেনা? তোমার যে এখনো অনেক কাজ আছে এভাবে চলে যেয়ো না। কিন্তু রাইসার কোনো সাড়া না পেয়ে ধীরে - ধীরে ছেলেটি নিশ্চুপ হয়ে গেলো। বুঝে ফেললো --- মেয়েটি ওর কথাটা রাখার জন্য দূরে চলে গেলো। চারপাশের আবহাওয়া ধীরে- ধীরে আর ও অন্ধকারের আড়ালে লুকিয়ে যাচ্ছে, আকাশ বারবার আর্তনাদ করছে, বৃষ্টির স্পর্শের জন্য, প্রকৃতির মাঝে গম্ভীরতা প্রকাশ পাচ্ছে, এমতাবস্থায় রিয়ান নিজের আবেগকে কন্ট্রোল করে, চারপাশে তাকিয়ে বলতে লাগলো -- না এভাবে আর দাড়িয়ে থাকলে হবেনা, আমি ওকে নিয়ে হসপিটালে যাবো, ওকে বাচতেই হবে। এই বলে, রিয়ান তাড়াতাড়ি রাইসাকে নিয়ে গাড়িতে উঠে, বারবার ড্রাইভারকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলো-