Skip to main content

পোস্টটি আম দিয়ে পড়ুন

রাশিয়ার সাথে যখন আফগানিস্তানের যুদ্ধ হয় রাশিয়ার
বোমার অত্যাচারে আফগানিস্তানের মায়েরা বোনেরা আর
টিকতে পারলনা । হাফেজী মায়ের কোর আন । এক হাফেজী
ছেলের মা গর্ভবতী । গর্ভবতী মা তার বাবাকে ডেকে বললেন
স্বামি গো এই খানে থাকতে পারব না রাশিয়ার সৈন্যরা মেরে
ফেলবে । আমরা অন্যত্রে যাই এর পরে এই মহিলা হাফেজী
ছেলে ও স্বামিকে নিয়া অন্যত্রে চলে গেল । কিন্তু ভাইজান
মহিলা গর্ভবতী ছিল মহিলার যখন প্রসাব বেদনা উঠল আমাদের
দেশের মত শিজার করা প্রয়োজন ডাক্তার ডাকা প্রয়োজন এখন
টাকা প্রয়োজন একটা টাকাও নাই কোথায় পাবে টাকা এক
পর্যায়ে হাফেজ আব্দুর রহমানের বাবাকে বললো স্বামি ও
স্বামি আপনে কিছু মনে নিবেন না আমরা যেই বাড়ি থেকে
আসছি ঐ বাড়িতে আমি কিছু টাকা (খুটির ভিতর) রাখছিলাম
আপনে সংস্বারে টাকা দিতেন তা থেকে আমি জমা রেখেছি।
স্বামী ই হাফেজ আব্দুর রহমানকে পাঠাইয়া দিন ঐ যায়গা
থেকে টাকা গুলো আনতে । আমার ভাইরা আট বছরের সন্তান
হাফেজি কুর আন । চলে গেল রাশিয়ার সৈন্যরা তুরফিন দেখে
কোন তালেবান আমাদের দিকে আসেকিনা কোন আলকায়দার
গোষ্ঠী আমাদের দিকে আসে কিনা কিন্তু আট বছরের ছেলে
তো তালেবান না এই ছেলে পাগড়ি মাথায় দিয়া কুর আন বুকে
নিয়া মায়ের টাকা আনতে পুরান বাড়িতে যাচ্চে আর জিকির
করে লাইলাহা ইল্লালাহ লাইলাহালা ইল্লা লাহ ।এক পর্যায়ে
বাড়িতে চলে যাওয়ার পর ছোট্ট মানুষ রাত্র বেলায় যখন ভূল
করে যখন রাশিয়ার ক্যাম্পে চলে গেল হাঃ আঃ রহিমকে
তালেবান বলে গ্রেফতার করল ।তার উপার যখন টর্চার শুরু করল
(স্রীকগুলার চালায়) ডাক দিয়ে বলে । এই ছেলে চাচাগো
আমিতো তালেবান নই গো চাচা আমি একজন কুর আন
শিক্ষাত্রী গো চাচা আমি হাফেজি কুর আন গো চাচা আমারে
আপনে আর মারবেন না ।হায়রে নিষ্ঠুর সৈন্যরা যখন জানতে
পারল কুর আনে হাফেজ । রাশিয়ার সৈন্যরা ডাক দিয়া বলল
তোকে আর মারবোনা তোর কুর আন কেমন সত্য তোদের আল্লাহ
বলছে তোদের কুর আনে বলছে তোদের কুর আন সত্য । এখন আমরা
পরিক্ষা করে দেখব হাঃ আঃ বলল চাচা কেমনে দেখবেন । ঐ
যে সাজোয়া ট্যাংক সাজিয়ে রাখছে তোর কুর আনের আয়াত
পড়ে ফুক দিয়া দিবা যদি ঐ ট্যাংক গুলো যদি আগুন ধরাতো
পার তাহালে মনে করব তোর কুর আন সত্য হাঃ আঃ রহমান ডাক
দিয়া বলল চাচাগো ওজুর পানি দিন । কিতাবে লিখক লিখে এই
ছোট্ট ছেলের চামড়া প্লাহ দিয়া টেনেছে এই ছেলে ডাক
দিয়া বলছে চাচা আমি তো কোন তালেবান নই আমি একজন কুর
আন শিক্ষার্থী মাদরাসার ছাত্র আপনে আমাকে আরমাবেন না
কিন্তু নিষ্ঠুর পাষান বির্ধমী রাশিয়ার সৈন্যরা একথা শুনেনা ।
এর পর ওজুর পানি দিল এই ছেলে দু ই রাকাত নামাজ পড়ল
আল্লাহকে ডাক দিয়ে বলল আল্লাহ ও আমার আল্লাহ ওমাবুদ
তুমি ছাড়া আমার কোন বন্দু নাই । মা ওষুধ কিনতে টাকা নিতে
পাঠাইছে ...ও আমার আল্লাহ আমায় নির্যাতন করেছে মারছে
এর পর চক্রান্ত করেছে তোমার কুর আন পরিক্ষা করবে ফুক দিয়া
ট্যাংকে আগুন ধরাতে হবে আমি কি ধরাতে পারব ও আমার
আল্লাহ আমায় নির্যাতন করেছে এতে দুঃখ নাই আমারে মারে
মারুক । যদি আমি আগুন না ধরাতে পারি তাহলে তোমার কুর আন
মিথ্যা বলে প্রচার করে দিবে ও আমার আল্লাহ তোমার
দরবারে কুর আনের ইজ্জত ভিক্ষা চাই (ছুবহানাল্লাহ) । ও আমার
আল্লাহ আমি আয়াত পড়ে ফুক দিব তুমি আগুন ধরাইয়া দিও ।
মোনাজাত শেষ করে দুরুদ ইবরাহিম পড়ল নবী (সঃ) এর পর সুন্দর
করে কিবলা মুখি হইয়া ।  ট্যাংকের দিকে মুখ করে দুইটা আগুল
মাটিতে চিমটি দিল কিছু মাটি নিল মাটি নিয়া কুর আনের
আয়াত ওমা... এ আয়াত পড়িয়া ভাইজান ট্যাংকে দিকে ছুরে
দিল ছুরতে দেড়ি । কয়েক জন সাংবাদিকরা বলে হাফেজ আব্দুর
রহমানের ছুড়তে দেড়ি হল একটা না দু ইটা না আঠারোটা
ট্যাংক দাউ দাউ করে আগুন ধরে গেল । এর পর রাশিয়ার
সৈন্যরা ধাপ করে জমিনে সেজদা দিয়া দিল হাফেজ আঃ
রহমানের পা জাবরিয়ে ধরে বলল বাবা আঃ রহমান আমরা
বুজতে পারি নাই তোমার আল্লাহ সত্য তোমার কুর আন সত্য
আমাদের এখনি পড়াইয়া দাও কালেমা লাইলা ইল্লাহু
মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ (সঃ)

Comments

Popular posts from this blog

বিয়ের দুই মাস পরের রাত

মিষ্টি__এভাবে চলতে পারে না। সিজান__আমি নিরুপায়, জানি অন্যায় করছি কিন্তু পাপ করতে চাচ্ছি না। মিষ্টি__নিজের স্ত্রীর সাথে ঘুমানো পাপ, কেন এমন ভাবছো? তাহলে কি…… সিজান__তোমাকে মিথ্যে বলবো না।রুপা নামের একটা মেয়েকে ভীষণ ভালোবাসি, বাবা-মায়ের সম্মান রাখতে তোমাকে বিয়ে করেছি।আমাকে ধোঁকাবাজ ভেবো না, সম্পর্কের কথা বলার সুযোগ ছিল না।তার আগেই বিয়ের সব কথা পাকা করেছে।ভেবেছি হয়তো মেনে নিতে পারবো কিন্তু সত্যি বলছি, তোমাকে ভালবাসতেই পারবো না।আমার হৃদয় জুরে রুপার বিচরণ। মিষ্টি__আমি জানি, ভালোবাসায় জোর খাটে না।কোন মেয়ে বৈবাহিক জীবনে যদি স্বামীর ভালবাসা না পায় তাহলে পৃথিবীর সব ঐশ্বর্য এনে দিলেও সে সুখি হবে না। স্বার্থপরের মত শুধু নিজের কথাই ভেবেছো, একবারও আমার কথা ভাবোনি। সিজান__আমাকে ক্ষমা করে দাও প্লিজ? মিষ্টি__বাবা-মা আদর করে নাম রেখেছে মিষ্টি, কত ভ্রমর মিষ্টির মধুর পিছে ছুটেছে।জীবনে তোমাকেই স্বামী ভেবেছি, পুরোপুরি তোমার হয়ে গেছি।ভাবতাম, বর্ষায় ছাতা যত বড়ই হোক তাতে ভিজে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকেই আর প্রেম যত গভীর হোক তাতে প্রতারণার সম্ভাবনা আছেই।সে কথা ভেবে এতদিন নিজেকে আগলে রেখেছি, ভ

ভারতে কলেজ ছাত্রীর সাথে অস্লিল কর্মের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ারকরল বন্ধু।

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে এক তরুণীকে হেনস্তা করে ভিডিও ছেড়ে দিয়েছে এক যুবক। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছবি : এনডিটিভি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে ১৯ বছর বয়সী এক কলেজছাত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার পর ভিডিও ধারণ করে তা বন্ধুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছে এক যুবক। এ ঘটনায় ছাত্রীর ছেলেবন্ধু ওই যুবকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে এ ঘটনা ঘটে। গত মঙ্গলবার ছাত্রীর বাবার করা অভিযোগের ভিত্তিতে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকাসম জেলা থেকে  তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। Advertisement ভিডিওতে দেখা যায়, ওই তরুণী হামলাকারীদের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে কাকুতি-মিনতি ও আর্তনাদ করছেন। কিন্তু হামলাকারীরা তাঁর পোশাক অনাবৃত করে ধর্ষণের চেষ্টা করছে। ওই সময় হামলার শিকার তরুণীর পাশে থাকা আরেক মেয়েকে ধরার প্রাণপণ চেষ্টা করছিল। ওই মেয়েটি তরুণীকে বাঁচাতে সামান্য চেষ্টা করেছেন। অন্ধ্রপ্রদেশের পুলিশের ভাষ্য, ওই কলেজছাত্রী ও তাঁর এক বন্ধু বি সাইয়ের (ছেলেবন্ধু) সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। বি সাইয়ের সঙ্গে এক বছর আগে থেকে তরুণীর পরিচয় ছিল। মন্দিরে যাওয়ার পর বি সাইয়ের বন্ধু কার্তিক (যে তরুণীর স

ভালবাসার সঙ্গা:-

ভালোবাসার সংজ্ঞা দিয়েছেন বিভিন্ন দার্শনিক বিভিন্ন ভাবে । ব্যক্তি ভেদে এই সংজ্ঞা বদলে যায় , যেমন বিখ্যাত গণিতবিদ পীথাগোরাস কে আমরা সবাই কম-বেশি চিনি। একবার কোন এক “ ভালোবাসা দিবস” এ এক লোক পীথাগোরাস কে জিজ্ঞেশ করেছিল, আপনার কাছে ভালবাসা’র সংজ্ঞা কী হতে পারে? পীথাগোরাস কোনো কথা না বলে খাতা-কলম নিয়ে বসে পরলো। তারপর কিছুক্ষন পর বলল, আমার কাছে ভালবাসা হচ্ছে ২২০ এবং ২৮৪ এর উৎপাদক ।তখন লোকটি বলল , কীভাবে? পীথাগোরাস বলল , ২২০ এর উৎপাদক হলো ১,২,৪,৫,১০,১১,২০,২২,৪৪,৫৫,১১০ এবং ২৮৪ এর উৎপাদক হলো ১,২,৪,৭১,১৪২ এখন আপনি যদি ২২০ এর উৎপাদক গুলোকে যোগ করেন তাহলে যোগফল হবে ২৮৪ (১+২+৪+৫+১০+১১+২০+২২+৪৪+৫৫+১১০=২৮৪) এবং ২৮৪ এর উৎপাদক গুলোকে যোগ করেন তাহলে যোগফল হবে ২২০ (১+২+৪+৭১+১৪২=২২০) কী! মজার না? আবার দেখুন আমাদের দেশের কবি রফিক আজাদের একটা কবিতা আছে, "ভালোবাসার সংজ্ঞা" ভালোবাসা মানে দুজনের পাগলামি, পরস্পরকে হৃদয়ের কাছে টানা; ভালোবাসা মানে জীবনের ঝুঁকি নেয়া, বিরহ-বালুতে খালিপায়ে হাঁটাহাঁটি; ভালোবাসা মানে একে অপরের প্রতি খুব করে ঝুঁকে থাকা; ভালোবাসা মানে ব্যাপক বৃষ্টি, বৃষ্