Skip to main content

বিয়ের দুই মাস পরের রাত

মিষ্টি__এভাবে চলতে পারে না।
সিজান__আমি নিরুপায়, জানি অন্যায় করছি কিন্তু পাপ করতে
চাচ্ছি না।
মিষ্টি__নিজের স্ত্রীর সাথে ঘুমানো পাপ, কেন এমন ভাবছো?
তাহলে কি……
সিজান__তোমাকে মিথ্যে বলবো না।রুপা নামের একটা
মেয়েকে ভীষণ ভালোবাসি, বাবা-মায়ের সম্মান রাখতে
তোমাকে বিয়ে করেছি।আমাকে ধোঁকাবাজ ভেবো না,
সম্পর্কের কথা বলার সুযোগ ছিল না।তার আগেই বিয়ের সব কথা
পাকা করেছে।ভেবেছি হয়তো মেনে নিতে পারবো কিন্তু সত্যি
বলছি, তোমাকে ভালবাসতেই পারবো না।আমার হৃদয় জুরে রুপার
বিচরণ।
মিষ্টি__আমি জানি, ভালোবাসায় জোর খাটে না।কোন
মেয়ে বৈবাহিক জীবনে যদি স্বামীর ভালবাসা না পায়
তাহলে পৃথিবীর সব ঐশ্বর্য এনে দিলেও সে সুখি হবে না।
স্বার্থপরের মত শুধু নিজের কথাই ভেবেছো, একবারও আমার
কথা ভাবোনি।
সিজান__আমাকে ক্ষমা করে দাও প্লিজ?
মিষ্টি__বাবা-মা আদর করে নাম রেখেছে মিষ্টি, কত ভ্রমর
মিষ্টির মধুর পিছে ছুটেছে।জীবনে তোমাকেই স্বামী ভেবেছি,
পুরোপুরি তোমার হয়ে গেছি।ভাবতাম, বর্ষায় ছাতা যত বড়ই
হোক তাতে ভিজে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকেই আর প্রেম যত
গভীর হোক তাতে প্রতারণার সম্ভাবনা আছেই।সে কথা ভেবে
এতদিন নিজেকে আগলে রেখেছি, ভাবিনি এমন দিন আসবে।
সিজান__আমি কি করবো বল?রুপা যে আমার পথ চেয়ে আছে?
মিষ্টি__আমার কিছু বলার নেই, শুধু বলবো ভালবাসা ছাড়া এক
সাথে থাকা সম্ভব না।তুমি ছাড়া জীবন বড় কষ্টের হবে কিন্তু
আমি প্রতারক স্বামীও চাই না।
বিয়ে হয়েছে দুই মাস হল কিন্তু না মিষ্টি পেয়েছে স্ত্রীর
মর্যাদা, না সিজান পেয়েছে স্বস্তি।স্বামীর অপেক্ষায় প্রতি
রাতে নববধূর আশা ভেঙ্গেছে, সম্মানের ভয়ে মুখ ফুটে কিছু
বলতে পারেনি।সিজানের মনে রুপার প্রতি প্রেম বেড়েই
চলেছে, রুপা ছাড়া আর কিছুতে মন বসাতে পাচ্ছে না।আজ
সিজান সব ছাড়তে প্রস্তুত, সিদ্ধান্ত নিয়েছে রুপাকে নিয়ে
সুদূরে পালাবে।শুরু থেকে শুরু করবে।
মিষ্টি ভাবছে,
_____এরপর সিজানকে মেনে নেওয়া কোন ভাবেই সম্ভব না
কারন তার মনে প্রানে রুপা ছড়িয়ে আছে।কেউ যদি কাউকে
ভুলে নতুন করে বাঁচতে চায় হয়তো তাকে মেনে নেওয়া যায়
কিন্তু যে অতীতকে আঁকড়ে থাকে তার ফিরে আসাটা অসম্ভব।
এভাবে বেচে থাকা সম্মানের নয়, এই মুখ কাকে দেখাবো?
সবাইকে কি জবাব দিবো?অন্য কারো কথা ভাবতেও পারবো
না, জীবনের শুরুতে সমাপ্তি করতে হচ্ছে।অথচ এই সিজানকে
সবাই কত ভাল জানে।বাবা-মায়ের পছন্দে বিয়ে করা ছেলে
সাক্ষাৎ অতীব ভদ্র এবং সুসন্তান হবে।বাবা-মা এমনটাই আমায়
বলেছে, সেই লোকগুলোকে কি করে সত্যিটা বলবো?এর চেয়ে
মরে যাওয়া অনেক ভালো, মৃত্যুই এর সমাধান।
বিঃ দ্রঃ
______হিরো থেকে বল্টু সবারই প্রেম করার অধিকার আছে, এক
সময় সবার জীবনে সে সুযোগ আসবে।ভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত
সুখ কিন্তু প্রেমে ত্যাগ করে সুখ পাওয়া যায় কখনো দেখিনি।
প্রিয় মানুষ প্রত্যেকের কাছে এমনই একজন যার সাথে অন্য
কারো তুলনা হয় না।অথচ সবার জীবনে প্রেম আসলেও মিলন
থাকে অধরায়।
___যাকে ভালবাসেন তার কাছে যদি নিজেকে গুরুত্বহীন মনে
হয় তবে সে কখনই আপনাকে ভালবাসে না।ছেলে-মেয়ে উভয়ের
মনে বিশ্বাস, শ্রদ্ধা না থাকলে প্রেম হয় না যেমন এক হাতে
তালি বাজে না।
একজনকে মন থেকে ভালবেসে যদি জানতে পারেন সেই
ভালোবাসার মানুষের ভাবনা গুলো অন্য কাউকে নিয়ে তাহলে
পায়ের নিচ থেকে দাঁড়ানোর মাটিও সরে যাবে।দিশেহারা মন
আশাহত অনুভূতির কষাঘাতে রক্তাক্ত হয়ে পথের ধুলোয়
লুটোপুটি খাবেন।বাঁচার ইচ্ছে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে কেননা
ভালবাসা ছাড়া কারো সাথে থাকা যায় না।
শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা নয় বৈবাহিক জীবনে কয়েক বছর পরেও
যদি ইহা বোঝা যায় তাহলেও সেই সম্পর্ক থাকবে না।দুটি মন
একত্র করার সুতো হল ভালবাসা, দুজনের মধ্যে যদি সুতোই না
থাকে তবে এক হবে না।যাকে ভালবাসেন তাকে শ্রদ্ধা আর
বিশ্বাস করেন, মনে তাকেই রাখুন যে আপনার ভালবাসা।
দুনিয়াতে সিজানের মত অনেক মানুষ আছে, যারা পরিস্থিতির
স্বীকার হয়ে ভুল করে।সিজানদের সংখ্যা ধোঁকাবাজের চেয়ে
কম তাই আসুন যাকে ছাড়া বেচে থাকা অসম্ভব তাকে আপন
করে নেই।নিজের পরীক্ষায় অন্যের জীবন বাজি রাখা বন্ধ
করি।

Comments

Popular posts from this blog

ভালবাসার সঙ্গা:-

ভালোবাসার সংজ্ঞা দিয়েছেন বিভিন্ন দার্শনিক বিভিন্ন ভাবে । ব্যক্তি ভেদে এই সংজ্ঞা বদলে যায় , যেমন বিখ্যাত গণিতবিদ পীথাগোরাস কে আমরা সবাই কম-বেশি চিনি। একবার কোন এক “ ভালোবাসা দিবস” এ এক লোক পীথাগোরাস কে জিজ্ঞেশ করেছিল, আপনার কাছে ভালবাসা’র সংজ্ঞা কী হতে পারে? পীথাগোরাস কোনো কথা না বলে খাতা-কলম নিয়ে বসে পরলো। তারপর কিছুক্ষন পর বলল, আমার কাছে ভালবাসা হচ্ছে ২২০ এবং ২৮৪ এর উৎপাদক ।তখন লোকটি বলল , কীভাবে? পীথাগোরাস বলল , ২২০ এর উৎপাদক হলো ১,২,৪,৫,১০,১১,২০,২২,৪৪,৫৫,১১০ এবং ২৮৪ এর উৎপাদক হলো ১,২,৪,৭১,১৪২ এখন আপনি যদি ২২০ এর উৎপাদক গুলোকে যোগ করেন তাহলে যোগফল হবে ২৮৪ (১+২+৪+৫+১০+১১+২০+২২+৪৪+৫৫+১১০=২৮৪) এবং ২৮৪ এর উৎপাদক গুলোকে যোগ করেন তাহলে যোগফল হবে ২২০ (১+২+৪+৭১+১৪২=২২০) কী! মজার না? আবার দেখুন আমাদের দেশের কবি রফিক আজাদের একটা কবিতা আছে, "ভালোবাসার সংজ্ঞা" ভালোবাসা মানে দুজনের পাগলামি, পরস্পরকে হৃদয়ের কাছে টানা; ভালোবাসা মানে জীবনের ঝুঁকি নেয়া, বিরহ-বালুতে খালিপায়ে হাঁটাহাঁটি; ভালোবাসা মানে একে অপরের প্রতি খুব করে ঝুঁকে থাকা; ভালোবাসা মানে ব্যাপক বৃষ্টি, বৃষ্

আমি নিজের চোখকে বিস্বাস করাতে পারছিলামনা।

আমি নিজের চোখকে বিস্বাস করাতে পারছিলামনা। - রাইসাঃ কি তুমার বিস্বাস হচ্ছেনা,আমি তুমার সামনে?? - আমিঃ তুমাকে কি আমি স্পর্শ করে দেখতে পারি? - রাইসাঃ আমি কি তুমাকে নিষেদ করেছি! - আমি আমার হাতটা রাইসার হাতের উপরে রাখলাম,আমার ভিতরে অজানা একটা ভাল লাগা কাজ করলো,বুকের ভিতরটা মোচর দিয়ে উঠলো! - এরি নাম হয়তো ভালবাসা! - আমি শুধু মুগ্ধ হয়ে রাইসাকে দেখছি।। - কখন যে সময় পেরিয়ে গেলো বুঝতে পারলাম না।।।হঠাৎ রাইসার ডাকে আমার হুশ্ ফিরলো! - রাইসাঃএখন আমাকে যেতে হবে শাকিল। - আমিঃ কেন?আরেকটু থাকোনা! - রাইসাঃ না একটু পরে আযান হবে,আমি আর থাকতে পারবনা, দিনের আলো আমি একদম সহ্য করতে পারিনা।আমি যাচ্ছি ভাল থেকো। রাইসা চলে গেলো। - ঘরটা আগের মতো আবার অন্ধকার হয়ে গেলো।শুধু একটা মিষ্টি গন্ধ পাচ্ছি! - - তার পর বেশ কিছুদিন কেঁটে গেলো,রাইসা আমাকে কল করছে না,দেখা করতেও আসছেনা।। - ভাবলাম ও হয়তো আমাকে ভুলে গেছে! মনের অজান্তেই কখন রাইসাকে আমি ভালবেসে ফেলেছি,জানিনা। - খুব কষ্ট হচ্ছিলো! রাইসাকে ছাড়া আর কোন কিছু ভাবতে পারছিনা আমি। হোক না সে অন্য কোন জাতি!আমি তু তাকে ভালবাসি আর ভালবাসা
ছেলেরা মাসে ৭০০০ টাকা বেতনে চাকরী করে!বাবার জন্য ১০০০,!মা'র জন্য ১০০০,!বউয়ের জন্য ১০০০ টাকা!ফেমিলি চালানোর ২০০০ বিকাশ করেও! দিব্যি ২০০০ টাকায় মাস চালিয়ে নিতেজানে। মাসে ৭০০০ টাকা মাইনের ছেলেটা বেতন পেয়ে! বউয়ের কাছে ফোনে বলতে জানে " ওগো তোমার জন্য কিপাঠাবো? " সামান্য বেতন পাওয়া যে ছেলেটা নিজের পুরনোজুতো বদলাবে বলে ঠিক করেছে , সেই ছেলেটাইমার্কেটে গিয়ে বউ আর বাবুর জন্য জুতো কিনে নিজের ছেঁড়াজুতো সেলাই করেমাসের পর মাস পড়তেজানে। উপোস পেটে কাজে গিয়েও মাকে বলতে জানে'আমি মাছ দিয়ে ভাত খেয়েছি তোমরা খেয়েছোতো', ১০৩ ডিগ্রী জ্বর নিয়ে কাজে গিয়েও বাবাকে বলে 'আমি অনেক ভাল আছি তোমরা ভাল আছোতো? নিজের পকেট ফাঁকা জেনেও বউকে বলে ' একটু ধৈর্য্য ধরো সামনের মাসে তোমার জন্য একজোড়া বালা কিনেদিব।