Skip to main content

Posts

Showing posts from 2017
চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেছে এক তরুণ। শুরু হলো প্রশ্নোত্তর পর্ব- প্র.: কংক্রিটের মেঝেতে ডিম ফেলবেন, কিন্তু ফাটবে না-কীভাবে করবেন এটা? উ.: কংক্রিটের মেঝে আসলে খুব শক্ত, ফাটার কোনো আশঙ্কাই নেই! প্র.: একটা দেয়াল বানাতে আটজন মানুষের যদি ১০ ঘণ্টা লাগে, চারজন মানুষের কত সময় লাগবে? উ.: কোনো সময়ই লাগবে না, কারণ দেয়ালটা ততক্ষণে তৈরি হয়ে যাবে! প্র.: আপনার এক হাতে যদি তিনটি আপেল ও চারটি কমলা থাকে, আর আরেকটি হাতে থাকে চারটি আপেল ও তিনটি কমলা; তাহলে কী পেলেন আপনি? উ.: বিশাল বড় হাত। প্র.: এক হাতে একটা হাতিকে কীভাবে ওপরে তুলবেন? উ.: এক হাতের আটবে এমন হাতিকে জীবনেও খুঁজে পাবেন না! প্র.: একজন মানুষ কী করে আট দিন না ঘুমিয়ে থাকতে পারে? উ.: কোনো সমস্যা নেই, সে রাতে ঘুমাবে! প্র.: নীল সাগরে যদি একটা লাল পাথর ছুড়ে মারেন, কী হবে? উ.: যা হওয়ার তা-ই, পাথরটি ভিজে যাবে অথবা ডুবে যাবে টুপ করে। প্র.: কোন জিনিসটি দেখতে একটি অর্ধেক আপেলের মতো? উ.: আপেলের বাকি অর্ধেকটি। প্র.: ব্রেকফাস্টে কোন জিনিসটা কখনোই খেতে পারেন না আপনি? উ.: ডিনার। পয়লা ধাক্কায় বেশ ভালোভাবেই উতরে গেল তরুণ। শুরু হলো
ঘটনার শুরু আজ থেকে চার বছরআগে এক রাতে। আমি সিলেট এর ওসমানী মেডিকেল এ একটা সেমিনার শেষ করে নিজেই ড্রাইভ করে ফিরছিলাম ঢাকায়। সাধারণত আমার পাজেরো টা আমার খুব প্রিয় হওয়াতে আমি কাউকে ড্রাইভার রাখিনি। সেদিন ও আমি নিজেই চালিয়ে নিয়ে আসছিলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে। পথে খানিক টা ঘুম ঘুম ভাব আসলেও মন টা সতেজ ছিল- কারন সেই সেমিনারে আমি আমার গবেষনার জন্য পেয়েছি প্রচুর হাততালি। সাংবাদিক রা ফটাফট ছবি তুলে নিয়েছিল আমার। পরদিন পত্রিকায় আমার ছবি সহ লিড নিউজ ও হবার কথা ই ছিল এবং হয়েছিল ও তাই। আমি একটা বিশেষ হার্ট সার্জারি আবিষ্কার করেছিলাম- যেটা আজ পৃথিবীর সব দেশে দেশে রোগীদের জীবন বাঁচাচ্ছে- মানুষকে স্বপ্নদেখাচ্ছে নতুন জীবনের।সেমিনারের সফলতা তাই জুড়ে ছিল আমার মনে প্রানে। রাস্তায় যেতে যেতে সেদিন আমি গান শুনছিলাম। গানের তালে তালে ধীর গতিতে গাড়ি চালাই আমি। বেশি গতি আমি কখনোই তুলিনা।সেদিন ও ৫০ এরকাছাকাছি গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলাম। সিলেট থেকে রওনা দিয়ে উজানভাটি এলাকার কাছাকাছি আসতেই হটাত করে আমার সামনে এক সাদা পাঞ্জাবি পড়া বৃদ্ধ লোক এসেদাঁড়ায়। রাত তখন প্রায় দুইটা। এই সময় রাস্তায় হাইওয়ের গাড়ি গুলো
লাল টুসটুসে তার গাল আর ধবধবে সাদা লম্বা দাড়ি। পরনে পা থেকে মাথা পর্যন্ত লাল রঙের স্যুট। বিশাল বপু জুড়ে কালো রঙের বেল্ট। ক্রিসমাসের মৌসুম এলেই পশ্চিমা বিশ্বে স্যান্টা ক্লজের এমন প্রতিকৃতি দেখা যায় প্রায় সবখানে। পশ্চিমা লোক-কাহিনীতে ক্রিসমাসে স্যান্টা ক্লজ সবার জন্য উপহার নিয়ে আসেন। কিন্তু আমেরিকার ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যে রয়েছে এমন এক শহর যার নাম 'সান্টা ক্লজ টাউন'। সেখানে বছরে অন্তত ২০ হাজার চিঠি আসে সান্টা ক্লজের নামে। কেমন সে শহর? স্যান্টা ক্লজ শহরে যেন সারা বছরই ক্রিসমাস। শহরের সীমানা যেখানে শুরু সেখানে স্যান্টা ক্লজের বিশাল আকারের একটি ভাস্কর্য। একই রকম ভাস্কর্য রয়েছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সামনে। এখানকার মূল রাস্তার নাম ক্রিসমাস বুলোভার্ড। ক্রিসামসের সাথে জড়িয়ে থাকা লোক-কাহিনীতে যেসব চরিত্র রয়েছে সেগুলোর নামে রয়েছে শহরের আরও অনেক কিছু। যেমন রুডল্ফ লেন, ক্রিসমাস লেক। শহরের স্যান্টা ক্লজ যাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা প্যাট কুক বলছেন স্যান্টা ক্লজের নামে শহরটিতে প্রতি বছর হাজার হাজার চিঠি আসে। প্রেরকের কাছে সেগুলোর উত্তরও পৌঁছে যায়। নভেম্বর মাসের শ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের তিনজন সৈন্য আজ সোমবার সকালে অবৈধভাবে বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে পড়লে তাদেরকে আটক করে ভারতের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই তিনজন ভারতীয় সৈন্য রাজশাহীর সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের প্রায় এক কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছিলো। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিজিবির কর্মকর্তারা বলছেন, ভারতীয় সৈন্যরা সোমবার সকালে ভুল করে বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে পড়ে। পদ্মা নদী দিয়ে ওখানকার সীমান্ত বিভক্ত। বিজিবির কর্মকর্তারা বলছেন, কোথাও কোথাও নদীর পানি শুকিয়ে দুদেশের সীমান্ত একসাথে মিশে গেছে। রাজশাহীর শালবাগান এলাকায় বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লে. কর্নেল শামীম মাসুদ আল ইফতেখার বিবিসি বাংলাকে বলেন, "যে জায়গা দিয়ে ওরা ঢুকেছিলো সেটি একটি চর এলাকা। ওখানে সীমান্ত চিহ্নিতকারী অনেক পিলার নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ওখানে কাঁটাতারের কোনো বেড়াও নেই। তখন রাতের বেলায় টহল দেওয়ার সময় চোরাকারবারিদের দাবড়াতে দাবড়াতে ভুল করে সীমান্তের এপাশে ঢুকে পড়েছে।" এরপর সীমান্ত এলাকায় টহলরত বিজিবির রক্ষীরা তাদেরকে পাকড়াও করে ভারতীয় রক্ষীদের আটক করে।

পোস্টটি আম দিয়ে পড়ুন

রাশিয়ার সাথে যখন আফগানিস্তানের যুদ্ধ হয় রাশিয়ার বোমার অত্যাচারে আফগানিস্তানের মায়েরা বোনেরা আর টিকতে পারলনা । হাফেজী মায়ের কোর আন । এক হাফেজী ছেলের মা গর্ভবতী । গর্ভবতী মা তার বাবাকে ডেকে বললেন স্বামি গো এই খানে থাকতে পারব না রাশিয়ার সৈন্যরা মেরে ফেলবে । আমরা অন্যত্রে যাই এর পরে এই মহিলা হাফেজী ছেলে ও স্বামিকে নিয়া অন্যত্রে চলে গেল । কিন্তু ভাইজান মহিলা গর্ভবতী ছিল মহিলার যখন প্রসাব বেদনা উঠল আমাদের দেশের মত শিজার করা প্রয়োজন ডাক্তার ডাকা প্রয়োজন এখন টাকা প্রয়োজন একটা টাকাও নাই কোথায় পাবে টাকা এক পর্যায়ে হাফেজ আব্দুর রহমানের বাবাকে বললো স্বামি ও স্বামি আপনে কিছু মনে নিবেন না আমরা যেই বাড়ি থেকে আসছি ঐ বাড়িতে আমি কিছু টাকা (খুটির ভিতর) রাখছিলাম আপনে সংস্বারে টাকা দিতেন তা থেকে আমি জমা রেখেছি। স্বামী ই হাফেজ আব্দুর রহমানকে পাঠাইয়া দিন ঐ যায়গা থেকে টাকা গুলো আনতে । আমার ভাইরা আট বছরের সন্তান হাফেজি কুর আন । চলে গেল রাশিয়ার সৈন্যরা তুরফিন দেখে কোন তালেবান আমাদের দিকে আসেকিনা কোন আলকায়দার গোষ্ঠী আমাদের দিকে আসে কিনা কিন্তু আট বছরের ছেলে তো তালেবান না এই ছেলে পাগড়ি মাথায়

বিয়ের গল্প

সাদিয়া এই প্রথম তামিমের দিকে তাকালো। তাকিয়ে আর চোখ ফেরাতে পারলো না! কারণ তার কল্পনা শক্তির সঙ্গে মিলে গেছে তামিমের চেহারা! এই ছেলেকে তরুণ বলা চলে, যুবক নয়। সাদিয়ার ক্লাসমেট বললেও বিশ্বাসযোগ্য। . তামিম আবার হাসছে! সাদিয়ার রাগ উঠে গেল! এই ছেলের কি হাসির রোগ আছে নাকি! তবে হাসিটা সুন্দর। . তামিম বলল, " তুমি আবার রেগে যাচ্ছো কেন? " . সাদিয়ার নিরবতায় তামিম আবার বলল, " ঠিক আছে আর হাসবো না। তোমাকে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করি? " . সাদিয়া মাথা নাড়লো। তামিম বলল, " তোমার সবচেয়ে ভালো লাগে কি করতে? " . সাদিয়া এবার অবাক হলো। সে এই প্রশ্ন আসা করেনি। তার সংকোচ কেটে গেছে, তাই সে এখন তামিমের দিকে তাকিয়ে আছে। . " বাঁশির শব্দ শুনতে আমার ভালো লাগে। " - আস্তেধীরে বলল সাদিয়া। . তামিম আবার প্রশ্ন করলো, " তোমার প্রিয় খাবার কি? " . - মোরগ পোলাও। -- তুমি কি রাঁধতে পারো? - হু পারি। . -- ঠিক আছে। আমার কথা শেষ। এখন আসি? - আমি কিছু জিজ্ঞেস করতে পারি? (ইকটু ভেবে সাদিয়া প্রশ্ন করলো।) -- অবশ্যই, বলো। . - আপনি কি করেন? -- ব্যাংকে চাকরি করি। - আপনি কি পর্যন্

বিয়ের দুই মাস পরের রাত

মিষ্টি__এভাবে চলতে পারে না। সিজান__আমি নিরুপায়, জানি অন্যায় করছি কিন্তু পাপ করতে চাচ্ছি না। মিষ্টি__নিজের স্ত্রীর সাথে ঘুমানো পাপ, কেন এমন ভাবছো? তাহলে কি…… সিজান__তোমাকে মিথ্যে বলবো না।রুপা নামের একটা মেয়েকে ভীষণ ভালোবাসি, বাবা-মায়ের সম্মান রাখতে তোমাকে বিয়ে করেছি।আমাকে ধোঁকাবাজ ভেবো না, সম্পর্কের কথা বলার সুযোগ ছিল না।তার আগেই বিয়ের সব কথা পাকা করেছে।ভেবেছি হয়তো মেনে নিতে পারবো কিন্তু সত্যি বলছি, তোমাকে ভালবাসতেই পারবো না।আমার হৃদয় জুরে রুপার বিচরণ। মিষ্টি__আমি জানি, ভালোবাসায় জোর খাটে না।কোন মেয়ে বৈবাহিক জীবনে যদি স্বামীর ভালবাসা না পায় তাহলে পৃথিবীর সব ঐশ্বর্য এনে দিলেও সে সুখি হবে না। স্বার্থপরের মত শুধু নিজের কথাই ভেবেছো, একবারও আমার কথা ভাবোনি। সিজান__আমাকে ক্ষমা করে দাও প্লিজ? মিষ্টি__বাবা-মা আদর করে নাম রেখেছে মিষ্টি, কত ভ্রমর মিষ্টির মধুর পিছে ছুটেছে।জীবনে তোমাকেই স্বামী ভেবেছি, পুরোপুরি তোমার হয়ে গেছি।ভাবতাম, বর্ষায় ছাতা যত বড়ই হোক তাতে ভিজে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকেই আর প্রেম যত গভীর হোক তাতে প্রতারণার সম্ভাবনা আছেই।সে কথা ভেবে এতদিন নিজেকে আগলে রেখেছি, ভ
রুমে বসে বসে মোবাইলে গেমস খেলছি। তখনি মা রুমে আসলো। -- কিরে পড়াশুনা বাদ দিয়ে সারাদিন মোবাইল নিয়ে বসে থাকলেই পেট ভড়বে। -- মা মাত্র তো মোবাইলটা হাতে নিলাম। -- হুমম এইটাই চিবা বসে বসে তাহলেই আর খেতে হবে না। -- মা এমন টা নয় যে সারাদিন বই পড়লে আমার খিদে লাগবে না। আমি যখনই মোবাইলটা হাতে নেই তখনই তুমি দেখো। -- হইছে হইছেমুখে মুখে তর্ক করতে হবে না। কপাল গুণে পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স পাইছোস। আর তো ১টা বছর বাকি আছে। এখন আপাতত মন দিয়ে পড়। -- প্রতিদিন এই বই পড়, বই পড় বলে ভাঙ্গা রেডিওর হম বকবক করো না তো বিরক্ত লাগে। -- হুমম আমি তো যাই বলি তাই তোর কাছে বকবক মনে হয়। -- ও একটু চুপ করবে। -- হইছে এখন ছাদে গিয়ে গাছ গুলোতে জল দিয়ে আয়। --একটু পরে যাই। -- না এখনই যা। তোকে খাওয়াইয়া তো আমার কোন কাজে আসে না, একটা গাছ বড় করলেও আমার কাজে আসবো। -- যাচ্ছি। একটা বিরক্তিকর মুড নিয়ে মোবাইলটা পকেটে নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম ছাদের উদ্দেশ্যে। ছাদে এসে জল দিতে লাগলাম। তখনই আমার মোবাইলটা বেঁজে উঠলো। এই অসময়ে ফোনটা দিলো কে? মোবাইলে তাকিয়ে দেখি নিত্তিয়া মানে আমার গার্লফ্রেন্ডই বলা যায়। আসলে আমরা একসাথেই ছোট থে

আমি আর আমার ছাত্রী

এইতো ক'দিন আগের কথা। প্রাইভেট পড়াচ্ছিলাম এইচ এস সি ফার্স্ট ইয়ারের একটি মেয়েকে। খুব চঞ্চল স্বভাবের মেয়েটি। ঠাস ঠাস মনে যা আসে তাই বলে দেয়! কোনো ডর ভয় নেই। বাবা মার আদর পেতে পেতে যা হয় আরকি। তবে একদিক দিয়ে মেয়েটার প্রশংসা না করে পারি না... মেয়েটা অনেক বেশিই ভালো স্টুডেন্ট। বেশিরভাগ বড়লোক মেধাবীদের কিছুটা সামাজিক সমস্যা থাকে (সবার না)। মানে কোথায় কি বলতে হয় এসবের মাপঝোকে অনেকে একটু কম কম বুঝে। হুট করে সেদিন আমাকে প্রশ্ন করে ফেললো স্যার আপনার এই নীল শার্ট ছাড়া আর কোনো শার্ট নেই? আমার মুখটা সেদিন সত্যিই শুকিয়ে গিয়েছিলো। সাংঘাতিক লজ্জার ব্যাপার। অন্যকিছু না হয় মেনে নেওয়া যায় কিন্তু পোশাক আশাক বাহ্যিক চেহারা এসব নিয়ে কেউ কিছু খোটা দিয়ে বললে কারোরি সহজে সেটা সহ্য হয় না। আমি কিছুটা অবাক হয়ে নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম.. --- কে বললো নেই? --- না মানে আপনাকে এই দুই মাসে এককালারের নীল শার্ট ছাড়া অন্যকোনো ড্রেসে কখনো দেখিনি তো তাই। অন্য আরেকটা পড়ে আসেন সেটাওতো নীল! আমি কিছুটা অপ্রস্তুত ছিলাম.. জামাকাপড় নিয়ে এভাবে কাউকে উত্তর দিতে হবে আগে বুঝিনি,, কিছু

বিয়ের পরে।

...বিয়ের পর -হাসছেন কেন এভাবে?আমাকে কি জোকারের মত লাগছে? - না,না,তা কেন লাগবে? -তাহলে হাসছেন কেন? -আপনি নখ খাচ্ছেন তো তাই দেখে মজা লাগছে।নখ খাচ্ছেন কেন?খুব বাজে অভ্যাস। -নখ খাচ্ছি না,কামড়াচ্ছি।আর আমি আপনার কাছে জ্ঞান চাচ্ছি না।যে কাজ করতে এসেছি দয়া করে সেটা করে চলে যাই। -তা কি করতে এসেছি আমরা ম্যাডাম? - দেখা করতে এসেছি,কথা বলতে এসেছি,স্যার। -হুম।দেখা তো হয়েছেই,কথা তো হচ্ছে। -শুনুন,সোজাসুজি বলুন আমাকে আপনার পছন্দ হয়েছে? -আগে আপনি বলুন। -প্রশ্ন আগে আমি করেছি তাই আগে আপনি উত্তর দিবেন। -তেমন একটা ভালো লাগে নি,মোটামুটি। -চমৎকার।আপনাকেও আমার ভালো লাগে নি,তাহলে বিয়ে ক্যান্সেল। -দাঁড়ান দাঁড়ান,আমি বলেছি তেমন একটা ভালো লাগে নি,একটু একটু ভালো লেগেছে।আর বিয়ের পরে আশা করি সম্পূর্ণই ভালো লেগে যাবে,তাই বিয়ে ক্যান্সেল করার প্রশ্নই ওঠে না।আমি আপনাকেই বিয়ে করছি। - আজব পাবলিক তো আপনি!আমি আপনাকে বিয়ে করবো না। আপনার মাথা নষ্ট। -বিয়ে তো ঠিক হয়েই গেছে,এটা শুধু ফর্মালিটি।সো,নিরুপমা,বাসায় যেয়ে বিয়ের জন্য প্রস্তুত হোন। -আমার নাম শুধু নিরু। -ও নিরুপমা,করিয়ো ক্ষমা। হাহাহাহাহাহা......।টাটা নির

শিপা আর রিপা দুই বোন।

মাঝারি এক কর্মকর্তা মজিদ সাহেব তাঁদের বাবা। রিপা নেল পালিশ লাগাতে বড়ো বোন শিপাকে বলে, আপু, শাকিল ভাইয়ের সঙ্গে তোর কোনও চক্কর-মক্কর আছে নাকিরে? শিপা বলে, কেনরে! এই ফাজলামো প্রশ্ন কেন? না, বলছিলাম তোর কোনও চক্কর-মক্কর না-থাকলে আমি একটু বাজাতাম! আমার দিকে তাকায় না ব্যাটা! শিপার বিয়ে হলো সহসা। কানাডা প্রবাসী সায়েফের সঙ্গে। প্রেম ট্রেম নয়। দুপক্ষ দেখা করিয়েছিল হোটেলে বোঝাপড়ার জন্য। ছেলেটি ব্যক্তিত্ববান। বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসার্চের কাজ করে। খুব সাধারণ জীবন তাঁর। শিপাকে বলেছে প্রবাসে তারও কাজের সুযোগ থাকবে। প্রস্তাবটা বিবেচনা করতে। শিপা বলে, প্রস্তাবটা তো আমিও দিতে পারতাম, ঠিক কি না? না, আপনি পারতেন না। প্রার্থী তো আমি। অন্তত আমাদের সমাজব্যবস্থায় এটিই সংগত। বিয়ে হলো তাঁদের। খুব সুখে কয়েক মাস কাটিয়ে কানাডা যাচ্ছে সহসা। শাকিলকে রিপা প্রশ্ন করে, এই আমরা বিয়ে করি না কেন। দেখছো না ওরা কত সুখের উড়াল দিচ্ছে। শাকিল যেন আকাশ থেকে পড়ে। বিয়ে, তোমাকে? কেন? কেন আবার। এভাবে আমাকে ব্যবহার করবে তুমি। শাকিল হাসে, তোমার মতো পাঁচ ছজনের সঙ্গে আমার ডেটিং-ফেটিং হয়। কেউ সেটিং চায়নি তুমি চ

ভালবাসানিয়ে কবিদের বাণী

yousufhossain985.blogspot.com দিতে যে পারে না , পাওয়া তার ঘটে না । ......................শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচদ্র --------------------------######-------------------------- আপনার শক্তির প্রয়োজন হবে শুধুমাত্র তখনই যখন আপনি কারো ক্ষতি করতে ইচ্ছুক, এছাড়া অন্য সবকিছু করতে শুধুমাত্র ভালোবাসাই যথেষ্ট .. - হুমায়ূন আহমেদ --------------------------######-------------------------- তোমাকে সুখের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে, নাহলে সুখ কোনদিন তোমার কাছে আসবে না। --উইলিয়াম জেমস। --------------------------######--------------------------  আমি ভালবাসি যারে সেকি কভু আমার হতে দূরে যেতে পারে!! ---রবীন্দ্রনাথ ঠাকূর --------------------------######-------------------------- "বেঁচে থাকার মত আনন্দ আর কিছুই নেই। কত অপূর্ব দৃশ্য চারিদিকে। মন দিয়ে আমরা কখনো তা দেখি না। যখন সময় শেষ হয়ে যায়, তখনি শুধু হাহাকারে হৃদয় পূর্ণ হয়।" — হুমায়ূন আহমেদ  --------------------------######-------------------------- আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন খুঁজি তারে আমি আপনার, আমি শুনি যেন তার চরণের ধ্ব
yousufhossain985.blogspot.com আজ থেকে মবিন তার নতুন স্টুডেন্ট অভিকে প্রাইভেট পড়াতে শুরু করে, অভির সাথে পরিচয় পর্ব শেষ করে ওর পড়ালেখার কি অবস্থা, সিলেবাসে কি আছে, ও কেমন পারে ইত্যাদি খোজ খবর নিচ্ছে। এমন সময় একটা মেয়ে মবিনের পিছনে এসে দাড়ায়, মেয়েটা দুইটা কাশি দিয়ে মবিন কে আওয়াজ দেয়। মবিন পিছনে তাকিয়ে দেখে একটা মেয়ে হাতে হাত বেঁধে, ঘাড় বাকিয়ে রুদ্রমূর্তি ধারন করে দাঁড়িয়ে আছে, যেন অনেকক্ষণ যাবত ওকে সহ্য করছে, ছাড়া পেলে এখনই মবিনকে তুলধুল করবে। মবিন হা করে তাকিয়ে আছে, যেন ও ভুত দেখছে, কিন্তু এটা ভুত না মবিনের ক্লাসমেট আইরিন। আইরিন নীরবতা ভেঙ্গে বলতে শুরু করে= কি ব্যাপার তুমি আমার ফোন কল রিসিভ করছ না, ম্যাসেজ রিপ্লে করছ না, ব্যাপার কি? মবিন= তুমি এখানে কেন? দেখ এখানে কোন সিন ক্রিয়েট করবে না, এখানে আমি পড়াতে এসেছি। আইরিন= জানি, আমার ছোট ভাই অভিকে পড়াতে এসেছ। মবিন= মানে? আইরিন= মানে এটা আমারই প্ল্যান, তুমি আমার কাছ থেকে দূরে দূরে থাকতে চাও তো? তারই ব্যাবস্থা করলাম। এখন থেকে আমাদের প্রতিদিন সাক্ষাৎ হবে, দেখা হবে, কথাও হবে। বুঝলে চান্দু। আইরিন ওর ছোট ভাই আবিরের দিক

সত্তিকারের ভালবাসা

yousufhossain985.blogspot.com শেভিংফোম গালে মেখে রেজার ঠেকিয়ে ভাবছি.. টান কি দেবো..? নাকি দেবো না..?! রমজানের এই এক মাসে দাড়িগুলোর প্রতি মায়া জন্মে গিয়েছে। এদিকে ঈদের দুইদিন পর আমার বিয়ে! রোজার আগে রিয়া নামের মেয়েটিকে আংটি পড়িয়ে এসেছি। এরেঞ্জ বিয়ে। সব দিকদিয়েই ঠিকঠাক তবে মেয়েটা একটু বেশিই স্মার্ট। হাফ ইঞ্চি লম্বা দাড়ি আমার চেহারাটাই পালটে দিয়েছে। এটা কি রিয়া মেনে নেবে!? ভাবতে ভাবতে মুখে ঝপাস করে এক চিলতে পানি দিয়ে সব ধুয়ে মুছে ফেললাম। ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম.. যেভাবেই আছে এভাবেই থাক, যা হওয়ার হবে, মেয়ের জন্য দাড়ি কেটে ফেলাটা অন্যায় হয়েযাবে। মনেমনে যা ভেবেছিলাম তাই হলো... ঈদের দিন ভিডিওকলে কথা বলতে গিয়ে সে আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে... --- ঐ মিয়া! আপনে কে? --- তোমার হবু স্বামী(হেসে দেই) --- রোজাতো শেষ, আজকে ঈদের দিন! আপনি দাড়ি কাটেননি এখনো! পরশুদিন না আপনার বিয়ে!? --- হুম,,, তো? --- তো.. মানে কি...! এভাবে বিয়ে করবেননাকি?! --- হুমমম --- অসম্ভব! ইম্পসিবল! এক্ষুনি শেভ করে আসেন। কেমন অদ্ভুত! মুখের উপর না করে দিতে কেমন যেন ভয় ভ