Skip to main content

আমি নিজের চোখকে বিস্বাস করাতে পারছিলামনা।


আমি নিজের চোখকে বিস্বাস করাতে পারছিলামনা।
-
রাইসাঃ কি তুমার বিস্বাস হচ্ছেনা,আমি তুমার সামনে??
-
আমিঃ তুমাকে কি আমি স্পর্শ করে দেখতে পারি?
-
রাইসাঃ আমি কি তুমাকে নিষেদ করেছি!
-
আমি আমার হাতটা রাইসার হাতের উপরে রাখলাম,আমার
ভিতরে অজানা একটা ভাল লাগা কাজ করলো,বুকের ভিতরটা
মোচর দিয়ে উঠলো!
-
এরি নাম হয়তো ভালবাসা!
-
আমি শুধু মুগ্ধ হয়ে রাইসাকে দেখছি।।
-
কখন যে সময় পেরিয়ে গেলো বুঝতে পারলাম না।।।হঠাৎ রাইসার
ডাকে আমার হুশ্ ফিরলো!
-
রাইসাঃএখন আমাকে যেতে হবে শাকিল।
-
আমিঃ কেন?আরেকটু থাকোনা!
-
রাইসাঃ না একটু পরে আযান হবে,আমি আর থাকতে পারবনা,
দিনের আলো আমি একদম সহ্য করতে পারিনা।আমি যাচ্ছি
ভাল থেকো। রাইসা চলে গেলো।
-
ঘরটা আগের মতো আবার অন্ধকার হয়ে গেলো।শুধু একটা মিষ্টি
গন্ধ পাচ্ছি!
-
-
তার পর বেশ কিছুদিন কেঁটে গেলো,রাইসা আমাকে কল করছে
না,দেখা করতেও আসছেনা।।
-
ভাবলাম ও হয়তো আমাকে ভুলে গেছে!
মনের অজান্তেই কখন রাইসাকে আমি ভালবেসে
ফেলেছি,জানিনা।
-
খুব কষ্ট হচ্ছিলো! রাইসাকে ছাড়া আর কোন কিছু ভাবতে
পারছিনা আমি।
হোক না সে অন্য কোন জাতি!আমি তু তাকে ভালবাসি আর
ভালবাসা কোন জাতি প্রজাতি মানেনা।।।
-
সেদিন ছিল ১৪-০২-২০১৭ তারিখ
-
রাতে আমি আমার ঘরে ঘুমাচ্ছিলাম,
রাত ১২:০০ টার দিকে আমার রুমের দরজায় কেন নক করছিলো!
-
আমি ঘুমের ঘরেই দরজা খুললাম!সাথে সাথে কয়েক জন লোক
আমাকে কোন কিছু একটা দিয়ে মাথায় আঘাত করে।।
-
আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি!কোন কথা বলতে পারছিলাম না।
-
লোক গুলো হয়তো 'ডাকাত',আমার ঘরের দামি জিনিস গুলি
নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলো।।
-
আমি শুধু মনে মনে আল্লাহ্ কে ডাকছিলাম,আর ভাবছিলাম
আমাকে বাঁচাতে কি কেও আসবেনা??
-
ঠিক তখনি আবার সেই মিষ্টি গন্ধটা পেলাম!নিশ্চই রাইসা
এসেছে।
-
কিন্তু রাইসাকে আমি দেখতে পাচ্ছিনা শুধু কিছু শব্দ হচ্ছিলো!
যেন কেও কাওকে মারছে।
-
ডাকাত গুলোর এমন অবস্থা হয়েছে,যে ওঠে দাঁড়াতে পারছেনা।
-
একটু পরে খেয়াল করলান রাইসা ঘরের কোণে দাঁড়িয়ে আছে!
-
আমি রাইসার কাছে গিয়ে বুঝতে পারলাম মেয়েটা কাঁদছে।।
-
আমিঃ কি হলো কাঁদছো কেন?আর এত দিন যেহেতু আসোনি
তাহলে আজ কেন আমাকে বাঁচাতে এলে??
-
আমার কথা শুনে রাইসা আরো কান্না করছিলো!কিছু বুঝতে
পারছিলাম না কি করব।
-
রাইসাঃশাকিল আমি তুমার সাথে সেদিন দেখা করতে
এসেছিলাম,তা আমার রাজ্যে কেও মেনে নিতে পারেনি,আর
তাই সবচেয়ে বড় শাস্তিটা আমাকে দিয়েছে।আমাকে তুমাদের
জগৎ থেকে অনেক দূরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।সেখান থাকে
আর কোন দিন ফিরে আসতে পারব না।
-
আমি কিছু বলতে পারছিলামনা,শুধু চোখ দিয়ে পানি পরছিলো।
-
আমিঃ তুমাকে তো আমি ভালবাসি রাইসা,অনেক বেশি।।
-
রাইসাঃ আমিও তুমাকে অনেক ভাল বাসি শাকিল।তুমি
আমাকে স্পর্শ করতে চেয়েছিলে না,আজ আমাকে স্পর্শ করো!
তা না হলে আর কোন দিন সুযোগ পাবেনা।
-
আমি রাইসাকে শক্ত করে জরিয়ে দরলাম।তাতে আমার কষ্টটা
আরো বেঁড়ে গেলো।
-
রাইসাঃ তুমি একদম মন খারাপ করোনা!
রাইসা নামের এক মেয়েকেই তুমি জিবনসাথী হিসেবে পাবে!
সে তুমাকে আমার থেকে অনেক বেশি ভালবাসবে।
-
আমি আর কিছুই বলতে পারছিলাম না।
-
কিছুক্ষন পর রাইসা বাহিরে গিয়ে অন্ধকারে মিলিয়ে
গেলো।,আর যাওয়ার সময় বলে গেলো,তুমি ভাল থেকো।খুব মিস্
করব তুমায়।
-
আমি আর রাইসাকে দেখতে পারছিনা,শুধু আমার গায়ে লেগে
থাকা মিষ্টি একটা গন্ধ পাচ্ছি।

Comments

Popular posts from this blog

ভালবাসার সঙ্গা:-

ভালোবাসার সংজ্ঞা দিয়েছেন বিভিন্ন দার্শনিক বিভিন্ন ভাবে । ব্যক্তি ভেদে এই সংজ্ঞা বদলে যায় , যেমন বিখ্যাত গণিতবিদ পীথাগোরাস কে আমরা সবাই কম-বেশি চিনি। একবার কোন এক “ ভালোবাসা দিবস” এ এক লোক পীথাগোরাস কে জিজ্ঞেশ করেছিল, আপনার কাছে ভালবাসা’র সংজ্ঞা কী হতে পারে? পীথাগোরাস কোনো কথা না বলে খাতা-কলম নিয়ে বসে পরলো। তারপর কিছুক্ষন পর বলল, আমার কাছে ভালবাসা হচ্ছে ২২০ এবং ২৮৪ এর উৎপাদক ।তখন লোকটি বলল , কীভাবে? পীথাগোরাস বলল , ২২০ এর উৎপাদক হলো ১,২,৪,৫,১০,১১,২০,২২,৪৪,৫৫,১১০ এবং ২৮৪ এর উৎপাদক হলো ১,২,৪,৭১,১৪২ এখন আপনি যদি ২২০ এর উৎপাদক গুলোকে যোগ করেন তাহলে যোগফল হবে ২৮৪ (১+২+৪+৫+১০+১১+২০+২২+৪৪+৫৫+১১০=২৮৪) এবং ২৮৪ এর উৎপাদক গুলোকে যোগ করেন তাহলে যোগফল হবে ২২০ (১+২+৪+৭১+১৪২=২২০) কী! মজার না? আবার দেখুন আমাদের দেশের কবি রফিক আজাদের একটা কবিতা আছে, "ভালোবাসার সংজ্ঞা" ভালোবাসা মানে দুজনের পাগলামি, পরস্পরকে হৃদয়ের কাছে টানা; ভালোবাসা মানে জীবনের ঝুঁকি নেয়া, বিরহ-বালুতে খালিপায়ে হাঁটাহাঁটি; ভালোবাসা মানে একে অপরের প্রতি খুব করে ঝুঁকে থাকা; ভালোবাসা মানে ব্যাপক বৃষ্টি, বৃষ্

ভারতে কলেজ ছাত্রীর সাথে অস্লিল কর্মের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ারকরল বন্ধু।

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে এক তরুণীকে হেনস্তা করে ভিডিও ছেড়ে দিয়েছে এক যুবক। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছবি : এনডিটিভি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে ১৯ বছর বয়সী এক কলেজছাত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার পর ভিডিও ধারণ করে তা বন্ধুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছে এক যুবক। এ ঘটনায় ছাত্রীর ছেলেবন্ধু ওই যুবকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে এ ঘটনা ঘটে। গত মঙ্গলবার ছাত্রীর বাবার করা অভিযোগের ভিত্তিতে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকাসম জেলা থেকে  তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। Advertisement ভিডিওতে দেখা যায়, ওই তরুণী হামলাকারীদের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে কাকুতি-মিনতি ও আর্তনাদ করছেন। কিন্তু হামলাকারীরা তাঁর পোশাক অনাবৃত করে ধর্ষণের চেষ্টা করছে। ওই সময় হামলার শিকার তরুণীর পাশে থাকা আরেক মেয়েকে ধরার প্রাণপণ চেষ্টা করছিল। ওই মেয়েটি তরুণীকে বাঁচাতে সামান্য চেষ্টা করেছেন। অন্ধ্রপ্রদেশের পুলিশের ভাষ্য, ওই কলেজছাত্রী ও তাঁর এক বন্ধু বি সাইয়ের (ছেলেবন্ধু) সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। বি সাইয়ের সঙ্গে এক বছর আগে থেকে তরুণীর পরিচয় ছিল। মন্দিরে যাওয়ার পর বি সাইয়ের বন্ধু কার্তিক (যে তরুণীর স