Skip to main content
"চোখেতে অনেক ছবি ভালো লাগে আপন করে পেতে
স্বাদ যে জাগে ; তবু ভালোবাসা ভালোলাগা এক নয়
ভালোবাসা ভালোলাগা এক নয় " ভালোলাগা হচ্ছে
রাস্তায় চলার পথে কোনো ফুল মনে ধরল, তা ছিঁড়ে
নিলেন। শুকিয়ে গেল কিংবা আর ভালো লাগল না;
ফেলে দিলেন। আর ভালোবাসা হলো সেই ফুলগাছকে
পরিচর্যা করে তাতে ফুল ফোটালেন, পাশে পাশে
রাখলেন। আর এই ভালোবাসাই হলো সম্পর্ক জিইয়ে
রাখার প্রাণ, মূলমন্ত্র। ভালোলাগাতে বিশ্বাসের
উপস্থিতির তেমন প্রয়োজন নেই কিন্তু ভালোবাসাতে
একের বিশ্বাস অন্যের সঞ্জিবনী। ভালোলাগার আবেগ
কিছুটা বায়বীয় ব্যাপার l ভালোলাগা এমন এক জিনিস
যা একবার শুরু হলে সব কিছুই ভালো লাগতে থাকে l
অনেকগুলো ভালোলাগা থেকে হয়ত কিছু চিরস্থায়ী হয়
আর বাকি সবই আপেক্ষিক l তবে, ভালোলাগা হচ্ছে
ভালোবাসার প্রথম শর্ত, অনেকের অনেক কিছু আমাদের
ভালো লাগে, কিন্তু তাই বলে আমরা সবাইকে
ভালোবাসতে পারিনা। ভালোবাসা অন্তর দিয়ে অনুভব
করতে হয়, এক্ষেত্রে ভালোলাগা বা কোনো প্রকার
ভাষার প্রয়োজন হয় না। ভালোবাসার বিশেষ কোন রং
নেই l ভালোবাসা মানে কাউকে জয় করা নয়,
ভালোলাগার জিনিসটাকে বা পছন্দকে হাসিল করে
নেয়া নয় বরং নিজেই কারো জন্য হেরে যাওয়া, কারো
অন্তরের সাথে নিজের অন্তরকে একাত্ব করে নেয়া,
নিজের মনকে সঁপে দেয়া । এটা চোখের বা জ্ঞানের
গভীরতা দিয়ে হয়না, হয় হৃদয় এর পবিত্রতা দিয়ে l এই
ভালোবাসা কখনও কাঁদায়, কখন হাসায়, কেউ এর জন্য
আত্মবিসর্জন দেয়। মানুষ কত ত্যাগ স্বীকার করে
ভালোবাসার মানুষকে পাবার জন্য। আবার এই ভালবাসার
জন্য মূল্যবান অনেক কিছুই হারায় যার জন্য বিন্দুমাত্র
আফসোস ও কখনো হয় না l তবে শুধু ভালোলাগা থাকলে
এই জিনিসগুলো আসে না মন থেকে l ভালোবাসা বেঁচে
বা টিকে থাকে পরস্পরের বিশ্বাসে। যে প্রেমে
বিশ্বাসের ঘাটতি দেখা দেয় সেখানে হয়ত প্রেম থাকে
না, থাকে সামাজিকতা রক্ষা। ভালোবাসা পবিত্র
একটি অনুভূতি। ভালোলাগা থেকে স্বার্থসিদ্ধির জন্য
ভালোবাসা উচিত নয়। মনে রাখবেন, ভালোলাগাতে
প্রত্যাশা থাকে, তবে ভালোবাসার সাথে প্রত্যাশার
কোনো সম্পর্ক নাই l ভালোবাসার পরিধি মহাবিশ্বের
মতোই বিশাল।‘ভালোবাসা’ নামক বস্তুটিতে যতটা
আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়, তা শুধু 'ভালোলাগা' থেকে
মেলে না l খুব তুচ্ছ কারনে যে কারো প্রতি ভালো লাগা
তৈরি হতে পারে, আবার ঠুনকো কারণেই সেই
ভালোলাগার মৃত্যু হতে পারে l ভালোবাসার মৃত্যু হয় না,
ঠিক যে একই কারণে আত্মার মৃত্যু নেই l
YIUSU

Comments

Popular posts from this blog

ভালবাসার সঙ্গা:-

ভালোবাসার সংজ্ঞা দিয়েছেন বিভিন্ন দার্শনিক বিভিন্ন ভাবে । ব্যক্তি ভেদে এই সংজ্ঞা বদলে যায় , যেমন বিখ্যাত গণিতবিদ পীথাগোরাস কে আমরা সবাই কম-বেশি চিনি। একবার কোন এক “ ভালোবাসা দিবস” এ এক লোক পীথাগোরাস কে জিজ্ঞেশ করেছিল, আপনার কাছে ভালবাসা’র সংজ্ঞা কী হতে পারে? পীথাগোরাস কোনো কথা না বলে খাতা-কলম নিয়ে বসে পরলো। তারপর কিছুক্ষন পর বলল, আমার কাছে ভালবাসা হচ্ছে ২২০ এবং ২৮৪ এর উৎপাদক ।তখন লোকটি বলল , কীভাবে? পীথাগোরাস বলল , ২২০ এর উৎপাদক হলো ১,২,৪,৫,১০,১১,২০,২২,৪৪,৫৫,১১০ এবং ২৮৪ এর উৎপাদক হলো ১,২,৪,৭১,১৪২ এখন আপনি যদি ২২০ এর উৎপাদক গুলোকে যোগ করেন তাহলে যোগফল হবে ২৮৪ (১+২+৪+৫+১০+১১+২০+২২+৪৪+৫৫+১১০=২৮৪) এবং ২৮৪ এর উৎপাদক গুলোকে যোগ করেন তাহলে যোগফল হবে ২২০ (১+২+৪+৭১+১৪২=২২০) কী! মজার না? আবার দেখুন আমাদের দেশের কবি রফিক আজাদের একটা কবিতা আছে, "ভালোবাসার সংজ্ঞা" ভালোবাসা মানে দুজনের পাগলামি, পরস্পরকে হৃদয়ের কাছে টানা; ভালোবাসা মানে জীবনের ঝুঁকি নেয়া, বিরহ-বালুতে খালিপায়ে হাঁটাহাঁটি; ভালোবাসা মানে একে অপরের প্রতি খুব করে ঝুঁকে থাকা; ভালোবাসা মানে ব্যাপক বৃষ্টি, বৃষ্

আমি নিজের চোখকে বিস্বাস করাতে পারছিলামনা।

আমি নিজের চোখকে বিস্বাস করাতে পারছিলামনা। - রাইসাঃ কি তুমার বিস্বাস হচ্ছেনা,আমি তুমার সামনে?? - আমিঃ তুমাকে কি আমি স্পর্শ করে দেখতে পারি? - রাইসাঃ আমি কি তুমাকে নিষেদ করেছি! - আমি আমার হাতটা রাইসার হাতের উপরে রাখলাম,আমার ভিতরে অজানা একটা ভাল লাগা কাজ করলো,বুকের ভিতরটা মোচর দিয়ে উঠলো! - এরি নাম হয়তো ভালবাসা! - আমি শুধু মুগ্ধ হয়ে রাইসাকে দেখছি।। - কখন যে সময় পেরিয়ে গেলো বুঝতে পারলাম না।।।হঠাৎ রাইসার ডাকে আমার হুশ্ ফিরলো! - রাইসাঃএখন আমাকে যেতে হবে শাকিল। - আমিঃ কেন?আরেকটু থাকোনা! - রাইসাঃ না একটু পরে আযান হবে,আমি আর থাকতে পারবনা, দিনের আলো আমি একদম সহ্য করতে পারিনা।আমি যাচ্ছি ভাল থেকো। রাইসা চলে গেলো। - ঘরটা আগের মতো আবার অন্ধকার হয়ে গেলো।শুধু একটা মিষ্টি গন্ধ পাচ্ছি! - - তার পর বেশ কিছুদিন কেঁটে গেলো,রাইসা আমাকে কল করছে না,দেখা করতেও আসছেনা।। - ভাবলাম ও হয়তো আমাকে ভুলে গেছে! মনের অজান্তেই কখন রাইসাকে আমি ভালবেসে ফেলেছি,জানিনা। - খুব কষ্ট হচ্ছিলো! রাইসাকে ছাড়া আর কোন কিছু ভাবতে পারছিনা আমি। হোক না সে অন্য কোন জাতি!আমি তু তাকে ভালবাসি আর ভালবাসা

ভারতে কলেজ ছাত্রীর সাথে অস্লিল কর্মের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ারকরল বন্ধু।

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে এক তরুণীকে হেনস্তা করে ভিডিও ছেড়ে দিয়েছে এক যুবক। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছবি : এনডিটিভি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে ১৯ বছর বয়সী এক কলেজছাত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার পর ভিডিও ধারণ করে তা বন্ধুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছে এক যুবক। এ ঘটনায় ছাত্রীর ছেলেবন্ধু ওই যুবকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে এ ঘটনা ঘটে। গত মঙ্গলবার ছাত্রীর বাবার করা অভিযোগের ভিত্তিতে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকাসম জেলা থেকে  তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। Advertisement ভিডিওতে দেখা যায়, ওই তরুণী হামলাকারীদের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে কাকুতি-মিনতি ও আর্তনাদ করছেন। কিন্তু হামলাকারীরা তাঁর পোশাক অনাবৃত করে ধর্ষণের চেষ্টা করছে। ওই সময় হামলার শিকার তরুণীর পাশে থাকা আরেক মেয়েকে ধরার প্রাণপণ চেষ্টা করছিল। ওই মেয়েটি তরুণীকে বাঁচাতে সামান্য চেষ্টা করেছেন। অন্ধ্রপ্রদেশের পুলিশের ভাষ্য, ওই কলেজছাত্রী ও তাঁর এক বন্ধু বি সাইয়ের (ছেলেবন্ধু) সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। বি সাইয়ের সঙ্গে এক বছর আগে থেকে তরুণীর পরিচয় ছিল। মন্দিরে যাওয়ার পর বি সাইয়ের বন্ধু কার্তিক (যে তরুণীর স